রায়ো ভায়েকানোর ‘সি’ দলে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত জিদান

রায়ো ভায়েকানোর ‘সি’ দলে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত জিদান
ডন প্রতিবেদন : বাবা-মা সিলেটের। তাঁর জন্ম-বেড়ে ওঠা ইংল্যান্ডে। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত জিদান মিয়া সাড়া ফেলে দিয়েছেন স্পেনের লা লিগার দল রায়ো ভায়েকানোতে যোগ দিয়ে। অবশ্য মূল দলে নয়, ‘সি’ দলে। ২০ বছর বয়সি এই মিডফিল্ডারের বাবা-মায়ের চাওয়া, ছেলের গায়ে উঠুক বাংলাদেশের জার্সি। ক’দিন আগে বাংলাদেশ দলে যোগ দিয়েছেন ফ্রান্স ও কানাডা প্রবাসি দুই ফুটবলার। এরপর থেকে নতুন করে আলোচনায় এসেছে জিদানের নামও। আলাপচারিতায় তার বাবা সুফিয়ান মিয়া জানালেন ছেলের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেক কথা। ডেভিড বেকহ্যামের একাডিমেতে দুই বছর অনুশিলন করা জিদান স্কলারশিপ পেয়েছিলেন আর্সেনালের একাডেমিতেও। তবে আর্সেনালের একাডেমিতে যোগ দিতে পারেন নি যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে যাওয়ার কারণে। গত বছর চোটে ভোগার পর কদিন আগে জিদান যোগ দিয়েছেন রায়ো ভায়োকানোতে। বাবা সুফিয়ানের আশা, বাংলাদেশ ডাকলে সাড়া দেবে ছেলে। ‘‘স্পেনের দলটির ‘সি’ টিমে যোগ দিয়েছে জিদান। তবে অনুশীলন করবে ‘বি’ দলের হয়ে। বাংলাদেশ, ইংল্যান্ডের হয়ে খেলার কথা কখনও সে বলে নি। কেননা, এখনও এসব নিয়ে তার ভাবার সময় আসে নি। তবে আমরা চাই, ও বাংলাদেশের জাতীয় দলে খেলুক।’’ ‘যদি বাংলাদেশ থেকে ডাক আসে, জাতীয় দলের খেলার সুযোগ পায়, তাহলে আমরা পরিবারের সবাই বসবো। তারপর সবারসঙ্গে আলোচনার করে যেটা তার জন্য সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত হয়, সেটাই নেওয়া হবে।’ বাংলাদেশের পাসপোর্ট এখনও জিদানের নেই। তবে পাসপোর্ট পাওয়ার ‘প্রক্রিয়া’ চলছে বলে জানালেন সুফিয়ান। ২০১৯ সালে জাতীয় দলের কোচ জেমি ডের সঙ্গে প্রথম কথা হয় সুফিয়ান মিয়ার। এরপর আরও কয়েক দফা কথা হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের হয়ে খেলা নিয়ে আলোচনা হয় নি। শুধু ‘ফরমাল আলোচনা’ হয়েছে বলে জানান সুফিয়ান। তবে ঘুরে-ফিরে ছেলের গায়ে বাংলাদেশের জার্সি দেখার প্রত্যাশা জানিয়েছেন তিনি। শনিবার (২৮ আগস্ট) ফেসবুক লাইভে এসে জিদান নতুন ক্লাব নিয়ে কথা বলেন। কঠিন পরিশ্রম শুরু হলো বলেও জানান এই তরুণ মিডফিল্ডার। ‘আমি খুব গর্ব নিয়ে জানাচ্ছি যে, রায়ো ভায়েকানোরসঙ্গে ২০২১-২২ মৌসুমের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছি। আমাকে এই সুযোগ দেওয়ার জন্য এবং আমার ওপর আস্থা রাখার ক্লাবকে ধন্যবাদ। বছরের পর বছর ধরে পরিবারের সবাই আমার জন্য যে ত্যাগ স্বিকার করেছে, সেজন্য তাদেরকে ধন্যবাদ। তারা না থাকলে আজ আমি যেখানে আছি বা যা হয়েছি, তা পারতাম না।’ ‘এই পথচলায় যাঁরা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে, বিশেষ করে আমার শেকড় বাংলাদেশের যাঁরা আমাকে অনুসরণ করেছেন, তাঁদেরকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আপনাদের সমর্থন আমার দৃষ্টি এড়ায় নি। আমার প্রতি যে ভালোবাসা দেখিয়েছেন, সবকিছুর জন্য ধন্যবাদ। কঠোর পরিশ্রমের পর্ব শুরু হলো।’ বাংলাদেশ কোচ জেমি অবশ্য জিদানকে নিয়ে খুব বেশি ভাবছেন না। তিনি ব্যস্ত কিরগিজস্তানের ত্রিদেশীয় সিরিজের ভাবনায়। তবে যোগ্য হলে জিদানকে বিবেচনা করা হবে বলেও জানালেন এই ইংলিশ কোচ। ‘জিদানকে আরও খেলতে হবে এবং ফিট হয়ে উঠতে হবে। যুব পর্যায়ে সে লিগের বাইরের দলগুলোতে খেলেছে এবং আমি যতদূর জানি, সে যুক্তরাষ্ট্রের নাইকি একাডেমিতে ছিলো। এর অর্থ হচ্ছে, তার মান আছে। তবে বাংলাদেশের হয়ে খেলতে হলে তাকে ফিট হতে হবে, যতদূর জানি, গত বছর তার ইনজুরি ছিলো।’