রানী এলিজাবেথের স্মৃতি উজ্জ্বল রাখার জন্য কমনওয়েলথের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান।

রানী এলিজাবেথের স্মৃতি উজ্জ্বল রাখার জন্য কমনওয়েলথের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান।

বাসস : প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বলেছেন, কমনওয়েলথ থেকে প্রয়াত রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের স্মরণে যথাযথ কিছু করা উচিত, যাতে ভবিষ্যতে কয়েক বছর ধরে ফোরামে তাঁর নিবেদিত সেবা স্মরণে থাকে।

কমনওয়েলথ সেক্রেটারি জেনারেল প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড কিউসি এখানে শেখ হাসিনার বাসভবনে তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং জানায়, প্রধানমন্ত্রী প্রয়াত রানীকে ‘মাতৃতুল্য ব্যক্তিত্ব’ হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং রানীর সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণ করেছেন।

কমনওয়েলথ মহাসচিব কমনওয়েলথের প্রতি তাঁর অঙ্গীকারের জন্য রানীর প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

কমনওয়েলথের নতুন প্রধান হিসেবে রাজা তৃতীয় চার্লস এই উত্তরাধিকারকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন বলেও তিনি আস্থা প্রকাশ করেন।

চলতি বছরের জুনে রুয়ান্ডায় কমনওয়েলথ সরকার প্রধানদের বৈঠকে মহাসচিব পদে প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী তাঁকে অভিনন্দন জানান।

প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু উন্নয়ন, মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং সহিংস চরমপন্থা মোকাবিলায় শেখ হাসিনার অবদানের প্রশংসা করেন।

তিনি কোভিড-১৯ মহামারি সফলভাবে মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।

তিনি বলেন, কমনওয়েলথ সদস্য রাষ্ট্রগুলো সেই সঙ্কটের সময় যথেষ্ট আরও ভালো করেছিলো, যেগুলোর নেতৃত্বে মহিলারা রয়েছেন বা পরিচালনা প্রক্রিয়ায় মহিলারা সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত রয়েছেন। 

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে কমনওয়েলথ পরিবারের নারী নেতৃত্ব তুলে ধরার বিষয়ে প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ডের পরামর্শে প্রধানমন্ত্রী ইতিবাচক সাড়া দেন।

তিনি আগামী বছর স্মারক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ‘শান্তির বছর’ এবং ‘যুব বছর’ পালনের জন্য কমনওয়েলথের সঙ্গে অংশীদারিত্বের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড প্রকৃতি সংরক্ষণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের কাজের উল্লেখ করেন এবং কমনওয়েলথের ‘লিভিং ল্যান্ডস’ উদ্যোগে নেতৃত্ব প্রদর্শনের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানান।

তিনি সংস্থার ‘ব্লু চার্টার’ উদ্যোগের সঙ্গে বাংলাদেশের নেতৃত্বের সম্পৃক্ততার কথাও স্মরণ করেন।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী কমনওয়েলথের অর্থনৈতিক উন্নয়ন কার্যক্রমের গুরুত্ব তুলে ধরেন।

তিনি বাংলাদেশের সক্রিয় পদচিহ্নের সঙ্গে ব্যবসার ক্ষেত্রে সংযোগের উন্নয়নে কাজ করায় সন্তোষ প্রকাশ করেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া এবং যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম।