রাজশাহীতে জোরপূর্বক মার্কেট ভেঙ্গে টিন ও অ্যাঙ্গেল খুলে নিলো ভূমিদস্যুরা!

রাজশাহীতে জোরপূর্বক মার্কেট ভেঙ্গে টিন ও অ্যাঙ্গেল খুলে নিলো ভূমিদস্যুরা!

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঙলার কাগজ; লিয়াকত হোসেন, রাজশাহী : রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানার ম্যাচ ফ্যাক্টরির মোড় এলাকায় জোরপূর্বক মার্কেটের দোকান ভেঙ্গে টিন ও অ্যাঙ্গেল খুলে নিয়ে ভাঙারি পট্টিতে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এমন অভিযোগ করেছেন মার্কেটের মালিক আব্দুল বারী।

তিনি বলেছেন, স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা এবং একাধিক চাঁদাবাজী ও বিভিন্ন দপ্তরের টেন্ডার ছিনতাই মামলার আসামি মইদুল ইসলাম মোস্তফা ও রাজশাহী মহানগর যুবলীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক দুরুল হুদার নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫ জনের একটি গ্রুপ ৪ জানুয়ারি (বুধবার) ভোর ৪টা থেকে সকাল ১০টার মধ্যে মার্কেট ভেঙ্গে টিন ও অ্যাঙ্গেল খুলে নিয়ে গেছে। 

পরবর্তীতে টিন ও অ্যাঙ্গেলগুলো পার্শ্ববতী স্টেডিয়াম মার্কেটের একটি ভাঙারির দোকানে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি আরও বলেন, ‘জমির তফশিল জেলা- রাজশাহী, থানা- বোয়ালিয়া, জেএল নং-৮১ মৌজা- পবা, আরএস খতিয়ান নং-৩৩৩ আরএস দাগ নং- ১৫১১, রকম- ভিটা, পরিমাণ- ০.০৮৮১একর । নালিশি তফশিলভুক্ত এই সম্পতির সামনের অংশে ৫টি দোকান ঘর করা আছে। যা আদালত কর্তৃক স্থিতিশীল পরিবেশ বজায় রাখার জন্য বলা হয়েছে। কিন্তু ভূমিদস্যুরা আদালতের নিষেধাজ্ঞাকে তোয়াক্কা না করে একের পর এক ক্রাইম করে চলেছে। তারপরেও প্রশাসন নীরব হয়ে রয়েছে।’

গত ২৪ ডিসেম্বর বিকেলে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা পরিচয় দানকারী মোস্তফা, অরিন্দ্র দত্ত বাপ্পি, অয়ন, কিরণ, শান্ত, রিঙ্কু ও দুরুল হুদার নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন মিলে ম্যাচ ফ্যাক্টরি মোড় এলাকায় অবস্থিত আব্দুল বারী মালিকাধীন মার্কেটে জোরপূর্বক তালা লাগিয়ে দেয়। সে সময়ে তিনি তালা মারতে নিষেধ করলে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি ও প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন বলে জানান আব্দুল বারী।

আব্দুল বারী আরও বলেন, মহানগরীর শিরোইল মঠপুকুর এলাকার মৃত তামসুরুদ্দিন মন্ডলের ছেলে তিনি। বোয়ালিয়া থানার পবা মৌজার ম্যাচ ফ্যাক্টরির মোড়ের পূর্ব পাশে জেএল নং-৮১ নং দাগে ০.০৮৮১ একর জমি দীর্ঘদিন থেকে নিজ দখলে রেখে ভোগ-দখল করে আসছেন।

এর পূর্বেও গত ২৬ সেপ্টেম্বর সকাল আনুমানিক সাড়ে ৯টার সময় জমির উপর কিছু চিহ্নিত ভূমিদস্যু মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে দুরুল হোদা, আফসার হোসেনের ছেলে আজিজুর রহমান ও পবা নতুনপাড়া এলাকার মৃত সিয়াম আলীর স্ত্রী লাকী বেগম ও অজ্ঞাত আরও ১০ থেকে ১৫ জন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাঁর ভোগ-দখলকৃত জমিতে জোরপূর্বক প্রাচীর ভেঙ্গে প্রবেশ করে বিভিন্ন ধরনের নির্মাণকাজ করেছিলেন। পূর্বেও এই ভূমিদস্যুরা তাঁর সম্পত্তির সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে ও মাটি খনন করে লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধন করেছিলেন।

অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত দুরুল হুদার কাছে জানতে চাইলে তিনি বাঙলার কাগজ ও ডনকে বলেন, ‘জমি মার্কেট সমস্ত কিছু আমার। আমার জিনিস আমি ভাঙবো কারো কিছু বলার নাই।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে মোস্তফার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।