রাজশাহীতে জামায়াতের নায়েবে আমিরসহ ৬ জন গ্রেপ্তার

রাজশাহীতে জামায়াতের নায়েবে আমিরসহ ৬ জন গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঙলার কাগজ ও ডন; লিয়াকত হোসেন, রাজশাহী : রাজশাহীতে নাশকতার মামলায় জামাতের শাহমখদুম থানা নায়েবে আমিরসহ জামায়াত-শিবিরের ৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে আরএমপি শাহমখদুম থানা পুলিশ।

বোয়ালিয়া মডেল থানা ও গোয়েন্দা পুলিশের টিম মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে নগরীর বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা হলো : রাজশাহী মহানগরীর শাহমখদুম থানার নায়েবে আমির মো. হাফিজুর রহমান (৬০)। সে বড়বনগ্রাম শেখপাড়ার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে। মো. মুনসুর রহমানের ছেলে মো. ইদুল হোসেন (৪৫)। সে নওদাপাড়া খানকা শরীফ মোড় এলাকার বাসিন্দা। মো. আকতার উদ্দিনের ছেলে আবু হেনা মো. আহসান উদ্দিন (৩৮)। সে বোয়ালিয়া মডেল থানার কয়েরদাড়া বিলপাড়ার বাসিন্দা। মনতাজ আলীর ছেলে মো. শিমুল (২৬)। পাঠানপাড়ার মো. আব্দুল ওহাবের ছেলে মো. বাকী বিল্লাহ (৫৭) এবং রাজপাড়া থানার নতুন বিলসিমলা বন্ধগেট পূর্বপাড়ার মো. আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে মো. হোসাইন রিফাত (২১)।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে ২টায় বোয়ালিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আরিফুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্সসহ থানা এলাকায় বিশেষ অভিযানে ডিউটি করছিলো। এ সময় তিনি জানতে পারেন যে, বোয়ালিয়া থানার উপশহর চার রাস্তার মোড়ে জামায়াত-শিবিরের কিছু নেতাকর্মী বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর শফিকুর রহমানকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল, নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড এবং সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস করার লক্ষ্যে একত্রিত হয়েছে।

এ সময় পুলিশের টিম সামনে এগিয়ে আসলে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে লাঠি ও ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। তাদের আক্রমণে দুইজন পুলিশ সদস্য আহত হন। এ সময় পুলিশ ধাওয়া করলে তারা বিভিন্ন দিকে পালিয়ে যায়। তখন ঘটনাস্থল থেকে জামায়াত-শিবির সদস্যদের ফেলে যাওয়া জামায়াতে ইসলামী সংগঠনের জিহাদী বই ও ব্যানার উদ্ধার হয়। ওই ঘটনায় বোয়ালিয়া মডেল থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে একটি মামলা রুজু হয়।

মামলা পরবর্তীতে আরএমপি’র পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিকের নির্দেশে উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) আল মামুন ও উপ-পুলিশ কমিশনার (বোয়ালিয়া) আরেফিন জুয়েলের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিবি) আব্দুল্লাহ আল মাসুদের নেতৃত্বে বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম, এসআই এম শহীদুল্লাহ কায়সার সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সসহ আসামিদের গ্রেপ্তারে যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। ওই অভিযানে জামায়াত-শিবিরের ৬ জন গ্রেপ্তার হয়। 

গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।