রাজধানীতে ডায়রিয়ার রোগী কমছেই না।

রাজধানীতে ডায়রিয়ার রোগী কমছেই না।
নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলা কাগজ : রাজধানীতে ডায়রিয়ার রোগী কমছেই না। এক্ষেত্রে রাজধানীর মহাখালীর আইসিডিডিআর,বি (আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের) হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগী যেনো দিনদিনই বাড়ছে। জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার বেলা একটা পর্যন্ত ডায়রিয়ার রোগী ভর্তি হয়েছিলো ৬৭৮ জন। আজ বুধবার (৬ এপ্রিল) বেলা একটা পর্যন্ত ভর্তি হয়েছেন ৭১০ জন। হাসপাতালের প্রধান বাহারুল আলম আজ দুপুরে বাঙলা কাগজ ও ডনকে এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, গত ২১ মার্চ থেকে প্রতিদিন ১ হাজার ৩শ এর বেশি রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। দিনদিন রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আজ রোগী ভর্তির যে প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, তাতে সংখ্যা ১ হাজার ৪ শ ছাড়িয়ে যেতে পারে। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় দুই সপ্তাহ ধরে ডায়ারিয়ার প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের তথ্য অনুযায়ী, সারাদেশে বছরের প্রথম তিনমাসে (জানুয়ারি থেকে মার্চ) সাড়ে চার লাখের বেশি মানুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। এরমধ্যে ৫৫ হাজারের বেশি রোগীকে চিকিৎসা দিয়েছে আইসিডিডিআর,বির মহাখালী হাসপাতাল। আইসিডিডিআর,বির একটি সূত্র এর আগে বাঙলা কাগজ ও ডনকে বলেছিলো, তাঁদের হাসপাতালে আসা রোগীদের ২৩ শতাংশ তীব্র ডায়রিয়া বা কলেরায় আক্রান্ত। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, কলেরার রোগীর শরীর থেকে দ্রুত পানি বের হয়ে যায়। চোখ গর্তে চলে যায়। জিব শুকিয়ে যায়। রোগী নিস্তেজ হয়ে পড়ে। ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা চলে যায়। অর্থাৎ চিমটি দিলে ত্বক কুঁচকে থাকে, অল্প সময়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরে না। এসব লক্ষণ দেখা দিলে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। পানিশূন্যতার কারণে এসব রোগীর মৃত্যুর ঝুঁকি আছে। গত তিনমাসের হিসাবে দেখা গেছে, ডায়রিয়ায় সবচেয়ে বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এই বিভাগে আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৫৯ হাজার ২৪৭ জন। সবচেয়ে কম আক্রান্ত হয়েছে বরিশাল বিভাগে। আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ৪১৫। আট বিভাগের হিসাবে দেখা যায়, অন্যসব বিভাগে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও শুধু ময়মনসিংহ ও রংপুর বিভাগে ডায়রিয়ার আক্রান্তের সংখ্যা ফেব্রুয়ারির চেয়ে মার্চ মাসে কিছুটা কমেছে।