যুক্তরাজ্য প্রবাসী বাবা-ছেলে অচেতন হয়ে মারা গেলেন সিলেটে : স্ত্রী-পুত্র-কন্যা হাসপাতালে।

যুক্তরাজ্য প্রবাসী বাবা-ছেলে অচেতন হয়ে মারা গেলেন সিলেটে : স্ত্রী-পুত্র-কন্যা হাসপাতালে।

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঙলা কাগজ; সিলেট : সিলেটের ওসমানী নগরের তাজপুর এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে অচেতন অবস্থায় একই পরিবারের ৫ জনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে তাঁদের সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে দু’জনকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তাঁরা সম্পর্কে বাবা-ছেলে। বাকি ৩ জনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। তাঁরা হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি।

আজ মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে ওই ৫ জনকে উদ্ধার করা করা হয়। বিকেল সোয়া ৩টার দিকে বাঙলা কাগজ ও ডনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সিলেটের পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন। তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। 

তিনি জানান, ওই পরিবারটি প্রায় ৩০-৩৫ বছর ধরে যুক্তরাজ্য প্রবাসী। গত ১২ জুলাই তাঁরা ঢাকায় ফেরেন। ১৮ তারিখ ঢাকা থেকে সিলেটে আসেন। তাঁদের গ্রামের বাড়ি ওসমানী নগরের দিরায়তে। ভালো আবাসিক ব্যবস্থা পেতে বাড়ি থেকে ৭-৮ কিলোমিটার দূরে তাজপুরে বাসা ভাড়া নিয়েছিলেন তাঁরা। 

সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে তিনি বাঙলা কাগজ ও ডনকে আরও জানান, বিষক্রিয়ার কারণে মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। 

মারা যাওয়া দু’জন হলেন- রফিকুল ইসলাম (৫০) ও তাঁর ছেলে মাইকুল ইসলাম (১৬); আইসিইউতে ভর্তি বাকিরা হলেন, রফিকুলের স্ত্রী হোসনে আরা (৪৫), ছেলে সাদেকুল (২৫) ও মেয়ে সামিরা ইসলাম (২০)। 

স্থানীয়রা জানান, ওই বাড়ির এক রুমে রফিকুল ইসলাম ও তাঁর স্ত্রী-পুত্রসহ ৫ জন রাতে ঘুমিয়েছিলেন। আরেক রুমে তাঁর শ্বশুর-শাশুড়ি ও শ্যালকসহ ৪-৫ জন ঘুমিয়েছিলেন। সকালে রফিকুলদের অনেক ডাকাডাকির পরেও সাড়া না পেয়ে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল করা হয়। পরে দুপুর ১২টায় পুলিশ এসে অচেতন অবস্থায় তাঁদের উদ্ধার করে। 

রফিকুল ইসলামের ভায়রা-ভাই সাজ্জাদ বাঙলা কাগজ ও ডনকে বলেন, ‘ঠিক কী ঘটেছিলো, এখনো নিশ্চিত হতে পারি নি।’ 

এ ঘটনায় আত্মীয়-স্বজনদের কয়েকজনকে অনানুষ্ঠানিকভাবে প্রশ্ন করেছে পুলিশ। 

এ ছাড়া পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত শুরু করছে বলে জানা গেছে।