মিয়ানমারের উস্কানিতে পা না দেওয়ায় ‘ঢাকার প্রশংসা কূটনীতিকদের’।

মিয়ানমারের উস্কানিতে পা না দেওয়ায় ‘ঢাকার প্রশংসা কূটনীতিকদের’।

বাসস : ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকেরা বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে ‘মিয়ানমারের উস্কানিতে পা না দিয়ে’ উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিকে শান্তিপূর্ণভাবে সামাল দেওয়ায় বাংলাদেশের ‘চরম ধৈর্য্যের’ প্রশংসা করেছেন।

মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে কূটনীতিকদের ব্রিফিংয়ের পর ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্র সচিব এডমিরাল (অবসর) খোরশেদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘তাঁরা আমাদের আশ্বস্ত করেছেন যে, তাঁদের নিজ নিজ দেশ জাতিসংঘে এই ইস্যুতে বাংলাদেশকে সমর্থন দেবে।’

ব্রিফিংকালে মিয়ানমার থেকে আর কোনও মর্টারের গোলা বা গুলি যেন এ দেশে না আসে, সেজন্য পদক্ষেপ নিতে ঢাকা কূটনীতিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

বাংলাদেশ মিয়ানমারের উস্কানির ফাঁদে পা দেবে না উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তাঁদের বলেছি যে, মিয়ানমারকে গোটা অঞ্চলকে অস্থিতিশীল এবং রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে বাধা সৃষ্টি করতে দেওয়া যাবে না।’

মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মির মধ্যে চলমান সংঘাতে বাংলাদেশ সীমান্তে আতঙ্ক সৃষ্টি হচ্ছে। গত শুক্রবার নো-ম্যানস ল্যান্ডে গোলার আঘাতে এক রোহিঙ্গা নিহত ও অপর পাঁচজন আহত হয়েছেন।

একইদিনে বান্দরবার জেলার নাইক্ষ্যাংছড়ি উপজেলায় বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে একটি স্থলমাইন বিস্ফোরণে এক বাংলাদেশি যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন।

খোরশেদ আলম বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাত যেন বাংলাদেশিদের ওপর কোনও ধরনের চাপ সৃষ্টি না করে, সেজন্য পদক্ষেপ নিতে তাঁরা কূটনীতিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

দূতগণ বাংলাদেশের উদ্বেগের কথা মনযোগ দিয়ে শোনেন এবং তাঁদের সংশ্লিষ্ট দেশকে এ বিষয়টি অবহিত করবেন বলে জানান।

এক প্রশ্নের জবাবে খোরশেদ আলম বলেন, মিয়ানমার বরাবরই একই দাবি করে আসছে যে, বাংলাদেশে যে গোলাগুলো আঘাত হানছে, সেগুলো মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহী গ্রুপ আরাকান আর্মি ও এআরএসএ নিক্ষেপ করেছে।

এর আগে রোববার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই ঘটনায় ঢাকার প্রতিবাদলিপি হস্তান্তরের জন্য ঢাকায় নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত আং কিউ মোয়েকে চতুর্থ দফায় তলব করে।