মাসেই ১৬ ছাগল চুরি : কোটচাঁদপুরে নির্ঘুম রাত এলাকাবাসীর

মাসেই ১৬ ছাগল চুরি : কোটচাঁদপুরে নির্ঘুম রাত এলাকাবাসীর

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঙলার কাগজ; রাম জোয়ার্দার, কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ) : মাত্র একমাসের মধ্যেই ১৬টি ছাগল চুরির ঘটনা ঘটেছে। আর এ ঘটনার পর চোর আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার পাঁচলিয়া গ্রামের ছাগল মালিকেরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কোটচাঁদপুর উপজেলার পাঁচলিয়া গ্রামের ৯টি বাড়ি থেকে ওই ১৬ ছাগল চুরির ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে পল্লী চিকিৎসক আব্দুল আলিমের ১টি, তহিদুল ইসলামের ১টি, আশরাফুল ইসলামের ৩টি, সাইদুল ইসলামের ১টি, জহির হোসেনের ১টি, দুরুদ মন্ডলের ১টি, তসলেম উদ্দিনের ২টি, মইদুল ইসলামের ২টি এবং আবু কালামের ২টি ছাগল। চুরি ছাড়াও ছাগল মেরে রেখে যাওয়ার মতো মর্মান্তিক ঘটনাও ঘটেছে।

ভুক্তভোগী মইদুল ইসলাম বাঙলার কাগজকে বলেন, গত ১০ বছর ধরে আমি পঙ্গু হয়ে ঘরে পড়ে আছি। মাঠে অল্প একটু জমি আছে, তা থেকে খাবার ধানটা কোনও রকম আসে। বাজার আর অন্যান্য ব্যয়ভার চলতো আমার ছাগল বিক্রি করে।

তিনি জানান, অন্যের ছাগল পালন করে (পোষাণি) চুরি যাওয়া ওই ২ ছাগল পেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর উপার্জনের একমাত্র সম্বলই চুরি হয়ে গেছে।

মইদুল ইসলাম আরও জানান, ৩ ছেলে-মেয়ে আর স্ত্রী নিয়ে তাঁর সংসার। সংসারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি তিনিই।

ওই গ্রামের ছাগল মালিক লালন খন্দকার ও মমিনুর রহমান বাঙলার কাগজকে বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে ছাগল পালন করে আসছি। এমন সমস্যা হয় নি কোনোদিন, প্রায় দিন না ঘুমিয়ে রাত কাটছে এলাকাবাসীর।

এ ব্যাপারে দোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল জলিল বিশ্বাস বাঙলার কাগজকে বলেন, চুরির ঘটনা ঘটেছে আমি জানি। বিষয়টি উপজেলা আইন-শৃঙ্খলা সভায় তোলা হয়েছে।

তবে এরপরও কোনও ব্যবস্থা চোখে পড়ে নি বলেই জানান তিনি।

কোটচাঁদপুরের লক্ষ্মীপুর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান বাঙলার কাগজকে বলেন, ‘চায়ের দোকানে গল্প শুনেছি ১/২টা ছাগল চুরি হয়েছে। এই ব্যাপারে আজ পর্যন্ত কেউ কোনও অভিযোগও করে নি।’