‘মোদি’ পদবী নিয়ে মন্তব্যের জের : ২ বছরের জেলের সাজা রাহুল গান্ধীর, জামিন

‘মোদি’ পদবী নিয়ে মন্তব্যের জের : ২ বছরের জেলের সাজা রাহুল গান্ধীর, জামিন

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ ও ডন : বড়সড় বিপাকে রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। ‘মোদি’ পদবী নিয়ে ‘আপত্তিকর’ মন্তব্য করার অভিযোগে গুজরাটের সুরাট জেলা আদালত তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করলো। দু’বছর জেলের সাজা ঘোষণা করা হলো। ২০১৯ সালে দায়ের হওয়া অপরাধমূলক মানহানির মামলায় রাহুল গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই কংগ্রেস সমর্থকদের পক্ষ থেকে এই নিয়ে নিন্দা জানানো হয়েছে। এরই মধ্যে এই মামলায় জামিন মঞ্জুুর হয়েছে কংগ্রেস সাংসদের। এই সময়।

জামিন পেলেন রাহুল : সাজা ঘোষণার পরই জামিনের আবেদন করেছিলেন রাহুল গান্ধী। ইতিমধ্যেই কংগ্রেস সাংসদের জামিন মঞ্জুর হয়ে গেছে। 

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) আদালতে সশরীরে উপস্থিত হন তিনি। তাঁর উপস্থিতিতেই সুরাটের জেলা আদালত এই সাজা ঘোষণা করেন। তবে ৩০ দিনের জন্য তাঁর জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে। জেলা আদালতের রায়কে এর মধ্যে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারবেন তিনি। তবে আদালতের এই দু’বছরের সাজা ঘোষণায় সাংসদ পদ বাতিল হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে তাঁর।

এর আগেই মোদি পদবি সংক্রান্ত এই মামলায় সুরাট জেলা আদালতের বিচারক এইচ এইচ বর্মার এজলাসে সাজা কমানোর আর্জি জানিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। আবেদন করেছিলেন কংগ্রেস সাংসদের আইনজীবী কিরীট পানওয়ালা। আইনজীবীর যুক্তি ছিলো, রাহুলগান্ধীর মন্তব্যে কারও কোনও ক্ষতি হয় নি।

মামলাকারী কে? : তাঁর বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেছিলেন BJP বিধায়ক তথা গুজরাটের প্রাক্তন মন্ত্রী পূর্ণেশ মোদি। তাঁর বক্তব্য ছিলো, ‘কীভাবে প্রত্যেক চোরেদের পদবী মোদি হয়?’ এদিন মামলার শুনানি পর্বে হাজির থাকার জন্য রাহুল গান্ধী সকালেই সুরাট পৌঁছেছিলেন। আদালত চত্বরের বাইরে রাহুলের সমর্থনে জড়ো হন একাধিক কংগ্রেস সমর্থক। পোস্টার-ব্যানার নিয়ে রাহুলকে সমর্থন জানান তাঁরা।

এর আগে ২০২১ সালে রাহুল গান্ধী এই মামলায় সুরাট জেলা আদালতে হাজিরা দিয়েছিলেন। রাহুলের আইনজীবী সে সময় জানিয়েছিলেন, যদি আপত্তি থাকতো হবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই নিয়ে মামলা দায়ের করা উচিত ছিলো।

রাহুল গান্ধীর বাড়িতে দিল্লি পুলিশের হানা : অন্যদিকে, সম্প্রতি রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) বাড়িতে হানা দেয় দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রার সময় একটি ভাষণ দেওয়ার সময় যৌন হেনস্থায় শিকার হওয়া নারীদের নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন রাহুল গান্ধী। সেই নিয়ে মামলাও দায়ের হয়েছিলো। সেই বিষয় নিয়ে তদন্তের খাতিরেই রাহুল গান্ধীর বাসভবনে পৌঁছায় দিল্লির স্পেশাল সিপি (আইনশৃঙ্খলা)’র নেতৃত্বাধীন একটি দল। পরে বিস্তারিত জবাব দিয়ে একটি চার পাতার চিঠিও দেন কংগ্রেসের ওয়েনাডের সাংসদ।