ভারত, নেপাল ও শ্রীলঙ্কায় খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমলেও বাংলাদেশে বেড়েছে

ভারত, নেপাল ও শ্রীলঙ্কায় খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমলেও বাংলাদেশে বেড়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ ও ডন : বিশ্বের অনেক দেশেই সাম্প্রতিক সময়ে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমে এসেছে। কমেছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত, নেপাল এমনকি অর্থনৈতিক সঙ্কটে থাকা শ্রীলঙ্কায়ও। কিন্তু বিপরীত চিত্র দেখা গেছে বাংলাদেশে। এখানে খাদ্য মূল্যস্ফীতি না কমে উল্টো বেড়েছে। সম্প্রতি বিশ্বব্যাংক প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন চিত্র।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত এক বছরে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি কমার তালিকায় আরও রয়েছে– মালদ্বীপ, আফগানিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ইরান, জর্ডান, তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কলম্বিয়া, মেক্সিকো, কম্বোডিয়া, ডেনমার্ক এবং উগান্ডাসহ আরও অনেক দেশ। 

বিশ্বের খাদ্য নিরাপত্তাবিষয়ক হালনাগাদ ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের জুলাই থেকে চলতি বছরের এপ্রিল বা জুন পর্যন্ত সময়ে অনেক দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ধারাবাহিকভাবে কমে এসেছে। কিন্তু বাংলাদেশে তা হয় নি। 

বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন অনুসারে, গত বছরের জুলাইয়ে বাংলাদেশে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি ছিল ৮ দশমিক ২ শতাংশ। এটি মাঝে দু-এক মাস সামান্য কমলেও গত জুনে আবারও ৯ দশমিক ৭ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশের মতো পাকিস্তানেও বেড়েছে এটি। ২৮ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩৯ দশমিক ৫ শতাংশে পৌঁছেছে দেশটির খাদ্য মূল্যস্ফীতি। 

অন্যদিকে, একই সময়ে ভারতের খাদ্যে মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৭ শতাংশ থেকে কমে ৩ দশমিক ৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত দেশ শ্রীলঙ্কায় এ মূল্যস্ফীতি ৮২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ৪ দশমিক ১ শতাংশে নেমে এসেছে। 

বিশ্ববাজারে কৃষিপণ্য ও খাদ্যশস্যের দাম কমে যাওয়ার কারণেই মূলত বিভিন্ন দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমতে শুরু করেছে। ১৩ জুলাই প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে বিশ্ববাজারে ভুট্টার দাম কমেছে ২১ শতাংশ। গমের দাম কমেছে ৩ শতাংশ। যদিও একই সময়ে চালের দাম বেড়েছে ১ শতাংশ। গত এক বছরের ব্যবধানে আন্তর্জাতিক বাজারে ভুট্টা ও গমের দাম কমেছে ১৯ শতাংশ। তবে চালের দাম ১৬ শতাংশ বেড়েছে।