বুয়েটের রাব্বীকে হলের সিট ফেরত দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ

বুয়েটের রাব্বীকে হলের সিট ফেরত দিতে হাইকোর্টের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ : বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের ছাত্র ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা ইমতিয়াজ হোসেন রাব্বীর হলের সিট ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার (৮ এপ্রিল) এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজল ও বিচারপতি এম খসরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

রাব্বীর পক্ষে হলের সিট বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ব্যারিস্টার হারুনুর রশিদ হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করেন।

রিটে বুয়েটের উপাচার্যসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করে ইমতিয়াজের হলে সিট ফেরত দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়। ব্যারিস্টার হারুনুর রশিদ নিজেই রিটের পক্ষে শুনানি করেন।

জানা গেছে, ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকা বুয়েট ক্যাম্পাসে ২৭ মার্চ বুধবার মধ্যরাতে ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতাদের উপস্থিতিতে নেতাকর্মীদের একটি দল প্রবেশ করে। এর প্রতিবাদে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহ্‌রীর ও ছাত্রশিবিরের ইন্দনে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামেন। তারা ইমতিয়াজ হোসেন রাব্বীকে বুয়েট থেকে স্থায়ী বহিষ্কার এবং হল (আবাসিকতা) বাতিলসহ পাঁচ দফা দাবি তুলে ধরেন। পরে রাতে বুয়েটের উপাচার্য সত্যপ্রসাদ মজুমদারের নির্দেশে ইমতিয়াজ হোসেনের হলের আসন বাতিলের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন বুয়েটের রেজিস্ট্রার ফোরকান উদ্দিন।

এদিকে পহেলা এপ্রিল বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি চলতে বাধা নেই বলেই আদেশ দেন হাইকোর্ট। ইমতিয়াজ হোসেন রাব্বীর করা এক রিটের প্রেক্ষিতে বিচারপতি বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার ও বিচারপতি এম খসরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ ওই আদেশ দেন। ২০১৯ সালে বুয়েট কর্তৃপক্ষ ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করে যে প্রজ্ঞাপন জারি করে তা স্থগিত করে দেন হাইকোর্ট।

উল্লেখ করা যেতে পারে, আবরার ফাহাদের মৃত্যুর পর বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়ার পর নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহ্‌রীর কিউআর কোডের মাধ্যমে তাদের প্রচার-প্রচারণা চালায়। তারা শিক্ষার্থীদের ব্রেনওয়াশ করে। আর সেখানে তৎপর হয়ে উঠে ছাত্রশিবির। এ কারণেই বুয়েটের বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী টাঙুয়ার হাওরে জঙ্গিবাদের মিটিং করে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলো। আবার তারা শিক্ষার্থীদের একাডেমিক ই-মেইলে জঙ্গিবাদ সংক্রান্ত মেইলও পাঠিয়েছে। তবে এ ব্যাপারে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে।