বাড়ি ফিরেছেন খালেদা জিয়া

বাড়ি ফিরেছেন খালেদা জিয়া
ডন প্রতিবেদন : হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরছেন খালেদা জিয়া। রাজধানীর বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে ২৭ দিন পর বাড়ি ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। রবিবার (৭ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকার বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতাল থেকে প্রাইভেটকারে করে তিনি গুলশানের বাসা ফিরোজায় ফেরেন। এ সময়ে তার পাশে ছিলেন প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান সিঁথি। বাড়িতে পৌঁছানোর পর তাঁকে হাত ধরে গাড়ি থেকে নামান পুত্রবধূ। হাসপাতাল থেকে খালেদার গাড়ির সঙ্গেসঙ্গে যান বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উ-নবী খান সোহেল, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েলসহ কয়েকশ নেতাকর্মী। বাসায় তাকে অভ্যর্থনা জানাতে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, কেন্দ্রীয় নেতা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, শিরিন সুলতানা ও আফরোজা আব্বাসসহ নেতারা। বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দেহের লাম্পের বায়োপসিতে কোনও জটিলতা ধরা না পড়ায় খালেদা জিয়া বাড়ি ফিরেছেন। গত ১২ অক্টোবর খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিলো। তখন তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসকেরা জানান, তিনি কিছুদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন। স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গত ২৫ অক্টোবর জানানো হয়, খালেদা জিয়ার দেহে একটি লাম্প রয়েছে, তার বায়োপসি করা হবে। সেই বায়োপসিতে ক্যান্সারের কোনও লক্ষণ ধরা পড়ে নি বলে চিকিৎসকদের ভাষ্য। ৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত খালেদা জিয়াকে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যেতে হয়। দেশে করোনাভাইরাসের মহামারী শুরুর পর পরিবারের আবেদনে গত বছরের ২৫ মার্চ মানবিক বিবেচনায় তাকে শর্তসাপেক্ষে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার অনুমতি চেয়েছিলো তাঁর পরিবার। তবে সরকার বলেছে, সাময়িক মুক্তির শর্ত অনুযায়ী তাঁকে দেশে রেখেই চিকিৎসা দিতে হবে। কারামুক্তির পর বাসায় থাকা অবস্থায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন খালেদা জিয়া। এজন্য বছরের মাঝামাঝিতে ৫৪ দিন হাসপাতালে থাকতে হয়েছিলো তাঁকে।