বাংলা কাগজ ও ডন সম্পাদককে এক জঙ্গির ফোন? হুমকি?
নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলা কাগজ : বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যুগ্মভাবে ফ্যাটর্যাঙ্কে ১ নম্বর নিউজ এজেন্সি বাঙলা কাগজ ও আওয়ার ডন সম্পাদক ও প্রকাশককে ফোন দিয়ে হুমকি দিয়েছেন ‘নাম-পরিচয়হীন’ এক ব্যক্তি।
ওই ব্যক্তি ফোনকলে তার পরিচয় না দিলেও ফোনকলের অপর এক প্ল্যাটফর্ম ইমুতে ওই ব্যক্তির নাম দেখাচ্ছে সোহেল ভূঁইয়া।
সার্বিকভাবে বাংলা কাগজ ও ডন সম্পাদক ও প্রকাশক জনাব কালাম আঝাদ বলছেন, ‘ওই ব্যক্তি জঙ্গিবাদে জড়িত, এটি আমি মোটামুটি নিশ্চিত। এবং ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
জানা গেছে, আজ সোমবার (১৪ মার্চ) সকাল ১১টা ৩৬ মিনিটে বাঙলা কাগজ এবং ডন সম্পাদক এবং প্রকাশককে ০১৮৭২-৭২৩৮০২ নম্বর থেকে ফোন দেন এক ব্যক্তি। ফোন দেওয়ার পর ‘হ্যালো, কে বলছেন’ বলে ওই ব্যক্তির পরিচয় জানতে চান বাঙলা কাগজ ও ডন সম্পাদক ও প্রকাশক জনাব কালাম আঝাদ। কিন্তু ওই ব্যক্তি নিজের নাম-পরিচয় না বলে বাঙলা কাগজ ও ডন সম্পাদক এবং প্রকাশকের বিরুদ্ধে ‘চাঁদাবাজির’ অভিযোগ করেন।
তিনি দাবি করেন, ‘আপনি নাকি চাঁদাবাজি করেন? আমার কাছে ম্যাসেজ আছে।’ তখন বাঙলা কাগজ ও ডন সম্পাদক ও প্রকাশক বলেন, ‘আপনি কি বাঙলা কাগজ সম্পাদককে ফোন দিয়েছেন? এটা মে বি রং নাম্বার।’ কিন্তু ওই ব্যক্তি চাঁদার কথা বলতেই থাকেন এবং এক পর্যায়ে হুমকি দেন, ‘আমরা অনেক আগেই আপনাকে নিয়ে যেতাম। কিন্তু আপনি একজন জ্ঞানী ও সম্মানী লোক। তাই আপনাকে নিই নি।’
তখন বাঙলা কাগজ ও ডন সম্পাদক ও প্রকাশক জনাব কালাম আঝাদ বলেন, ‘আমি শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করেছি। ওখানে আমি সাড়ে ৩ বছর সাংবাদিকতা করেছি। ঢাকায় এসে ২০১২ সালের ১৫ মে থেকে ২০২০ সালের ১৯ মে পর্যন্ত বিভিন্ন স্বনামধন্য গণমাধ্যমে সাংবাদিকতা করেছি। এরপর দুটি অনলাইন নিউজ এজেন্সির সম্পাদক হয়েছি। কিন্তু কেউ কোনোদিন আমার নামে এ ধরনের অভিযোগ আনতে পারে নি।’
ওই ব্যক্তি আবারও বলেন, ‘আপনার বাড়ি কুমিল্লায়। আমরা সব বের করে ফেলেছি।’ পরে অবশ্য ওই ব্যক্তি বলেন, ‘তাহলে আমার কাছে যে অভিযোগ এসেছে, সেগুলো তাহলে মিথ্যা। আমি তাহলে আমার কাছে যে লোক অভিযোগ নিয়ে এসেছেন, তাকে বলবো, প্রমাণ নিয়ে আসার জন্য।’
তখন বাঙলা কাগজ সম্পাদক ও প্রকাশক ওই ব্যক্তিকে বলেন, ‘আপনি একজন সম্মানিত ব্যক্তিকে এভাবে ফোন করতে পারেন না। আর ফোন করে এভাবে কথা বলতে পারেন না।’ তখন ওই ব্যক্তি ৪ মিনিট ১২ সেকেন্ড কথা বলার পর ফোনকলটি কেটে দেন।
এ ব্যাপারে বাঙলা কাগজ ও আওয়ার ডন সম্পাদক ও প্রকাশক জনাব কালাম আঝাদ বাঙলা কাগজ ও ডনকে বলেন, ‘আমি বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে যখন সাংবাদিকতা করেছি, তখনও হিযবুত তাহ্রীরের বিরুদ্ধে নিউজ করেছি। আমি যখন ঢাকায় এসেছি, তখন থেকেই জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে অনেক নিউজ করেছি। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি নিউজের কারণে অর্থাৎ ‘সাকা চৌধুরীর পরিবারের টাকায় হেফাজতে ইসলামের লং মার্চ!’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি আমাদের অর্থনীতি ও আমাদের সময় ডটকমে প্রকাশিত হওয়ার পরে ঘটনাপ্রবাহে আমার দেশ পত্রিকা বন্ধ হয়ে যায় এবং মাহমুদুর রহমান গ্রেপ্তার হন।’
‘এভাবে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আমার এক্সক্লুসিভ নিউজের কারণে অনেক অভিযানও পরিচালিত হয়েছে।’
‘সার্বিকভাবে আমাকে যে ব্যক্তি ফোন দিয়েছেন, ওই ব্যক্তির ছবি ইমুতে দেখে আমি মোটামুটি নিশ্চিত যে, এই ব্যক্তি জঙ্গিবাদেরসঙ্গে জড়িত।’
উল্লেখ করা যেতে পারে, বাঙলা কাগজ ও ডন সম্পাদক ও প্রকাশককে ফোন দেওয়ার পরপরই ওই ব্যক্তি তার নিজের নম্বরটি বন্ধ করে দেন। তবে বাঙলা কাগজ ও ডনের শুভাকাঙ্ক্ষিরা জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তি মাঝেমধ্যেই ইমুতে আসছেন।
সবমিলিয়ে বাঙলা কাগজ ও ডন সম্পাদক ও প্রকাশক জনাব কালাম আঝাদ বাঙলা কাগজ ও ডনকে আরও বলেন, ‘ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’