ব্যারিস্টার তাপস : নজরুল সরোবর হবে ধানমন্ডি লেকে

ব্যারিস্টার তাপস : নজরুল সরোবর হবে ধানমন্ডি লেকে
বাসস : রাজধানীর ধানমন্ডি লেক এলাকায় রবীন্দ্র সরোবরের অনুরূপ নজরুল সরোবর নির্মাণ করতে যাচ্ছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। যা হবে নগরীর একটি অন্যতম প্রধান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস নগর ভবনে তাঁর কার্যালয়ে বাসস’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর অভিপ্রায় অনুযায়ী আমরা ধানমন্ডি লেক এলাকায় রবীন্দ্র সরোবরের অনুরূপ নজরুল সরোবর নির্মাণ করবো। রবীন্দ্র সরোবরটিও তিনিই নির্মাণ করেছিলেন।’ মেয়র বলেন, ডিএসসিসি’র পক্ষ থেকে ধানমন্ডি লেক এলাকায় নজরুল সরোবর নির্মাণের জন্য উপযুক্ত স্থানের সন্ধান চলছে। প্রাথমিকভাবে ধানমন্ডি ১৫/এ এলাকাটিকে সরোবর নির্মাণের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। মেয়র বলেন, নজরুল সরোবর, রবীন্দ্র সরোবরের মতোই নগরবাসীর বিনোদন ও বেড়ানোর জন্য একটি দর্শনীয় স্থান হবে। যেখানে মানুষ অবসর সময়ে বিশ্রাম ও নির্মল আনন্দ উপভোগ করতে আসবে। বাঙলা নববর্ষ পহেলা বৈশাখের মতো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিবসে বছরজুড়ে নগরীর মানুষ এখানে অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে এবং এটি হবে নগরীর একটি অন্যতম সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। এক প্রশ্নের জবাবে ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘১৯৯৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধানমন্ডি লেকের উন্নয়নে যে মাস্টারপ্ল্যান করে দিয়েছিলেন, সেই মূল মাস্টারপ্ল্যান পূর্ণ বাস্তবায়নের জন্য আমরা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছি এবং তা আমরা পুরিপূর্ণ করবো।’ ব্যারিস্টার তাপস বলেন, ‘আমরা মূল মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে কার্যক্রম শুরু করে দিয়েছি।’ উদ্যোগের অংশ হিসেবে তারা ধানমন্ডি লেকের নান্দনিক পরিবেশ ও সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে অবৈধ দখল উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করেছেন বলেই জানান তিনি। মেয়র আত্মবিশ্বাসেরসঙ্গে বলেন, ‘ধানমন্ডি লেকের উপর নির্মিত সকল অবৈধ স্থাপনা ভেঙে ফেলা হবে। ইতোমধ্যে কিছু ভাঙা হয়েছে, কয়েকটিকে সময় দেওয়া হয়েছে, তবে অবশ্যই বাকি সকল অবৈধ স্থাপনা ভেঙে ফেলা হবে।’ মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তিনি এই সতর্কবার্তা দিয়ে আসছেন যে, ডিএসসিসি এলাকায় সকল অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে। তিনি বলেন, ধানমন্ডি লেকের প্রাকৃতিক সৈৗন্দর্য ধরে রাখতে আমরা সেখানে একটি সুন্দর পরিবেশ তৈরি করবো। সেজন্য যা যা করা প্রয়োজন, তার সবই করা হবে। ব্যারিস্টার তাপস প্রধানমন্ত্রীর গতিশীল নেতৃত্বে দেশের অগ্রগতিরসঙ্গে তাল মিলিয়ে রাজধানী ঢাকাকে বাসযোগ্য ও সুন্দর শহর হিসেবে গড়ে তোলার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তিনি আরও উল্লেখ করেন, ডিএসসিসি ইতোমধ্যে ধানমন্ডি লেকের ওয়াকওয়ে দখলকারী ১৮টি স্থাপনার অবৈধ অংশ শনাক্ত করেছে। এরমধ্যে ১১টি স্থাপনার অবৈধ অংশ ভেঙে ফেলা হয়েছে। যারমধ্যে একজন বর্তমান সংসদ সদস্যের বাড়ির সীমানা প্রাচীরও রয়েছে।