টানেল ছাড়াও শনিবার ৯ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

টানেল ছাড়াও শনিবার ৯ প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ : কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেলসহ চট্টগ্রামে ১০টি প্রকল্পের উদ্বোধন এবং দুটির ভিত্তি স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। সেই সঙ্গে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ছয়টি উদ্যোগেরও উদ্বোধন করবেন তিনি। শনিবার (২৮ অক্টোবর) সকালে পতেঙ্গা প্রান্তে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর সেখান থেকে টানেল পেরিয়ে যাবেন আনোয়ারা প্রান্তে। এরপর কর্ণফুলী ইপিজেড মাঠে এক জনসভায় অংশ নেবেন সরকারপ্রধান।

১০ হাজার ৬৮৯ কোটি টাকা ব্যয়ে সাড়ে তিন কিলোমিটার দীর্ঘ বঙ্গবন্ধু টানেলের দরজা জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হবে উদ্বোধনের পরদিন রোববার। শনিবার আরও যেসব প্রকল্প উদ্বোধন করা হবে, তার মধ্যে রয়েছে : ৮১ কোটি ২৯ লাখ টাকা ব্যয়ে নবনির্মিত চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ ভবন। একইসঙ্গে উদ্বোধন করা হবে রাঙ্গুনিয়া জেলা পরিষদ ডাক বাংলো, আনোয়ারা জেলা পরিষদ ডাক বাংলো, পটিয়ায় শেখ কামাল অডিটোরিয়াম কাম মাল্টিপারপাস হল এবং রাউজানে শেখ কামাল কমপ্লেক্স ভবন। পতেঙ্গা এয়ারপোর্ট রোডের মোড়ে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল এবং বিমানবন্দর থেকে বঙ্গবন্ধু টানেল পর্যন্ত ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা সড়ক’ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি পটিয়ার শিকলবাহা খালের উপর ৩৯০ মিটার দীর্ঘ পিসি গার্ডার ব্রিজ উদ্বোধন করা হবে। প্রকল্পগুলো ছাড়াও ২৮১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত চট্টগ্রাম মুসলিম ইনস্টিটিউট সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্সও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এ প্রকল্পের আওতায় প্রায় শতবর্ষী মুসলিম হল ভেঙে নতুন আট তলা ভবন এবং প্রায় ষাট বছর বয়সী পাবলিক লাইব্রেরি ভবনের জায়গায় নতুন বিভাগীয় গ্রন্থাগার ভবন করা হয়েছে। চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারটি আগের আদলে রেখে নতুনভাবে নির্মাণ করা হয়েছে।

আর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প ‘মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ ও জাদুঘর চট্টগ্রাম’ এবং নগরীর দক্ষিণ হালিশহরে ‘সীম্যান্স হোস্টেল কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ’ শীর্ষক দুই প্রকল্পের।

জেলা প্রশাসনের যে ছয়টি উদ্যোগ উদ্বোধন করা হবে, তার মধ্যে আছে- ডিসি পার্ক, পর্যটক বাস-রিভার ক্রুজ-ফুল ডে ট্যুর প্যাকেজ সম্বলিত পর্যটন সেবা, স্মার্ট স্কুল বাস সার্ভিস, ১৯টি ইউনিয়নের খেলার মাঠ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, চট্টগ্রাম বার্ডস পার্ক এবং হাজার বছরের নৌকা জাদুঘর।