বিএনপির অনুষ্ঠানে জামায়াত নেতার উপস্থিতি! সমালোচনার ঝড়।

বিএনপির অনুষ্ঠানে জামায়াত নেতার উপস্থিতি! সমালোচনার ঝড়।
নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলা কাগজ : নিজেদের মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষ শক্তি হিসেবে দাবি করা বিএনপির কর্মসূচিতে জামায়াত নেতার উপস্থিতি নিয়ে রাজনীতিতে চলছে ব্যাপক সমালোচনা। বিরোধী দলের বৃহত্তর জোটে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী থাকবে কি-না, তা এখনও পরিস্কার না করায় বিএনপির ব্যাপারেও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন অনেকে। আর যুদ্ধাপরাধীদের দল জামায়াতকে ছাড়া বিএনপি চলতে পারবে না বলেও চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। জানা গেছে, রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গত শনিবার (২ এপ্রিল) দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপির ডাকা প্রতীকী অনশন কর্মসূচিতে ‘হঠাৎ হাজির হন’ জামায়াত নেতা নূরুল ইসলাম বুলবুল। তিনি জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির। আবার বুলবুল উপস্থিত বিএনপি নেতাকর্মীদের সামনে বক্তব্যও দিয়েছেন। সূত্র বলছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় বিএনপির কর্মসূচিতে জামায়াত-শিবির নেতাদের দেখা না গেলেও সরকারবিরোধী আন্দোলনের জোটসঙ্গী জামায়াতকে রাখা হবে কি-না, এ নিয়েও চলছে হিসাব-নিকাশ। তবে এক্ষেত্রে জামায়াতকে রাখলে তরুণ ভোটারদের ভোট বিএনপি কোনোভাবেই পাবে না বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বোদ্ধারা। তাঁরা এও বলছেন, জামায়াত আসলে তেমন বড় কোনও সংগঠন নয়। কারণ বর্তমান অবস্থায় বিএনপিই সংসদে প্রধান বিরোধী দলে নেই। এক্ষেত্রে একের পর এক বিএনপির নির্বাচন বর্জনকেই দুষছেন তাঁরা। সবমিলে বিএনপির কর্মসূচিতে জামায়াত নেতার উপস্থিতিই এখন সমালোচনার মূল বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। জানতে চাইলে বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘ঘরে আগুন লেগেছে, সেই আগুন নেভাতে হবে। এখন আগুন নেভানোর জন্য সব ধরনের লোক যাবে। সবাইকে আপনার মতাবলম্বী হতে হবে, তা-ও তো নয়। বাংলাদেশকে মুক্ত করার জন্য যারা আজ এগিয়ে আসবে; সে যেখান থেকে হোক, তাকে তো আমরা নিষেধ করতে পারবো না। সুতরাং জামায়াতে ইসলাম তাদের অবস্থান থেকে আন্দোলন করতে চায়, সেটা তারা করতে পারে।’ বিএনপির কর্মসূচিতে জামায়াত নেতার উপস্থিতি নিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, দলটি মুখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বললেও তাঁরা স্বাধীনতাবিরোধীদের লালন করে। ‘জামায়াতের সঙ্গে তাদের এই সখ্য তারই প্রমাণ।’