ফেনীতে বোমা ফাটানোর পর মালিককে কুপিয়ে জুয়েলারি দোকানের স্বর্ণালংকার লুট

ফেনীতে বোমা ফাটানোর পর মালিককে কুপিয়ে জুয়েলারি দোকানের স্বর্ণালংকার লুট

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ ও ডন : ফেনীর সোনাগাজীতে বোমা ফাটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টির পর মালিককে কুপিয়ে একটি জুয়েলারি দোকান থেকে স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে গেছে মুখোশধারী ডাকাতেরা। রোববার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার জমাদার বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

ডাকাতেরা অর্জুন জুয়েলার্স নামের ওই দোকানের প্রায় ৫০ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে বলে দাবি করেছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। ডাকাতদের অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত দোকানমালিক অর্জুন চন্দ্র বাদুরীকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফেনীর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। বোমা বিস্ফোরণে বাজারের পথচারী লেদু মিয়াসহ চারজন আহত হন। বাকিদের নাম জানা যায় নি। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার বেলা আড়াইটার দিকে ছয়-সাতজনের ডাকাত দল দুটি মোটরসাইকেল নিয়ে জমাদার বাজারের অর্জুন চন্দ্র বাদুরীর দোকানের সামনে আসে। এ সময় সড়কে বেশ কয়েকটি হাত বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তাঁরা স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পরে তাঁরা অর্জুন চন্দ্রকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দোকানে থাকা স্বর্ণালংকার লুট করে। বাধা দেওয়ায় দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে অর্জুনের মাথায় ও হাতে আঘাত করে দোকানে ভাঙচুর চালায়। চলে যাওয়ার সময় ডাকাতেরা আবারও বোমা ফাটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক মো. সাদেকুল করিম বাঙলার কাগজ ও ডনকে বলেন, অর্জুন চন্দ্রের মাথায়, চোয়ালে ও হাতে ধারালো অস্ত্রের আঘাত লেগেছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে দ্রুত ফেনীর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

অর্জুন বাদুরীর এক আত্মীয় বলেন, ডাকাত দল দোকান থেকে অন্তত ৫০ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে গেছে। তবে অর্জুন বাদুরীর জ্ঞান ফিরলে ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত তথ্য পাওয়া যাবে।

স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল জলিল বলেন, দুটি মোটরসাইকেলে হেলমেট পরা ছয়জন সশস্ত্র ডাকাত ছিলো। দলটি অর্জুনের দোকানে ঢুকে তাঁকে কুপিয়ে আহত করে বাজারে ককটেল ফাটিয়ে স্বর্ণালংকার লুট করে মোটরসাইকেলে উত্তর দিকে পালিয়ে গেছে।

সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খালেদ হোসেন বাঙলার কাগজ ও ডনকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছেন। কীভাবে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে এবং কারা ঘটিয়েছে, তার মূল রহস্য উদ্‌ঘাটনের কাজ চলছে। জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে।