প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব রাজাকারের বাচ্চা : বর্তমানে সার্বিক বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর করণীয়

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব রাজাকারের বাচ্চা : বর্তমানে সার্বিক বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর করণীয়

কালাম আঝাদ'র কলাম : প্রধানমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার বর্তমান প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান একজন রাজাকারের বাচ্চা। তার বাবা মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় কুমিল্লার শান্তি কমিটির নেতা ছিলেন। নাঈমুল ইসলাম খানকে এখনই অব্যাহতি দিন, কারণ নাঈমুল ইসলাম খান বিএনপির সময় বিএনপির কাছ থেকে অনেক সুবিধা নিয়েছিলেন এবং তিনি ছিলেন 'মাইনাস টু' ফর্মুলার অন্যতম প্রবক্তা। শেখ হাসিনার ক্ষমতা শেষ করতে নাঈমুল ইসলাম খান বড় অবদান রাখবেন, কারণ তার শরীরে রাজাকারের রক্ত। যদিও তিনি সম্পাদক হিসেবে অনেক ভালো। তবে মানুষ হিসেবে ততোটা নন। কারণ তিনি অনেক সাংবাদিকের বেতন মেরে খেয়েছেন, তাঁদেরকে অনেক কষ্ট দিয়েছেন। সবচেয়ে বড় কথা তিনি ভালো সম্পাদক হলেও ভালো মানুষ নন। টক শো গুলোতে তিনি অধিকাংশ সময়ই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এবং বিএনপির পক্ষে কথা বলতেন। সুতরাং রাজাকারের বাচ্চা নাঈমুল ইসলাম খানকে এখনই অব্যাহতি দেওয়া জরুরি প্রধানমন্ত্রীর। না হয় একটি দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।

প্রধানমন্ত্রীর এখন যা যা করা উচিত : প্রধানমন্ত্রীর পাশে এখন সবই চাটুকার। সাহস নিয়ে কেউ তাঁকে সত্যি কথা বলবেন বা বিনয়ের সঙ্গে তাঁর ভুল ধরিয়ে দেবেন বা শ্রদ্ধার সঙ্গে তাঁর সমালোচনা করবেন; এমন কেউ নেই। যা সবচেয়ে বেশি ভয়ঙ্কর। চীন সফরোত্তর সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীকে একাত্তর টিভির সেই 'চাটা' এবং দুর্নীতিবাজ সাংবাদিক এমনভাবে প্রশ্ন করেছিলেন, যেনো প্রধানমন্ত্রীর মুখ থেকে 'রাজাকারের বাচ্চারা' শব্দটি চলে আসে। অথচ ওখানে দেশের সকল স্বনামধন্য সম্পাদকেরা বসে আছেন। তাঁরা কিন্তু শ্রদ্ধার সঙ্গে প্রশ্নের মাধ্যমে কোটা সংস্কারের বিষয়টি বোঝাতে পারতেন, কিন্তু বোঝালেন না; বিনিময়ে কী হলো? হলো দেশের এতো সর্বনাশ। গত কয়েকদিনে দেশের অর্থনৈতিক ক্ষতি কয়েক হাজার কোটি টাকা। আর সরকার তো একেবারে খাদের কিনারেই চলে গিয়েছিলো। এ আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিএনপি, জামায়াত, ছাত্র শিবির, জঙ্গি এবং আওয়ামী লীগ করে অথচ গত ১৬ বছর ধরে সুবিধা বঞ্চিত এমন মানুষেরাও যোগ দিয়েছিলেন। ন্যায্য দাবি দেখে পৃথিবীর অধিকাংশ দেশের প্রবাসীদের বৃহৎ অংশ আন্দোলনকে সমর্থন করেছিলেন। আন্দোলনে ছিলেন একটি বড় অংশের সাধারণ জনগণও। এখন প্রধানমন্ত্রীকে কী কী করতে হবে? এখন প্রধানমন্ত্রীকে শিক্ষার্থীসহ বিপুল সাধারণ জনগোষ্ঠীর স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কাজগুলো করতে হবে; বিপুল সাধারণ জনগোষ্ঠী ক্ষিপ্ত হয়, এমন কাজ বর্জন করতে হবে- যেমন দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে এবং রাখতে হবে; ঘন ঘন লোডশেডিং দেওয়া যাবে না সহ বিপুল জনগোষ্ঠী একইসঙ্গে ঝামেলায় পড়ে, এমন কাজ করা যাবে না; প্রবাসীদের সন্তুষ্ট করতে এবং দেশের রিজার্ভ বাড়াতে রেমিট্যান্সের প্রণোদনা আরও বাড়িয়ে দেওয়া যায়, তাতে দেশের বড় লাভ; দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগ করেছে অথচ গত ১৬ বছর ধরে সুবিধা বঞ্চিত, তাঁদের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে; গত ১৬ বছর ধরে যেসব জেলায় তেমন উন্নয়ন হয় নি, সেগুলোয় উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে, রাস্তাঘাট করে দিতে হবে; বিরোধী দল নাশকতা করলে কঠোরভাবে দমন করতে হবে এবং জঙ্গিবাদ কঠোর হস্তে দমন করতে হবে।