প্রধানমন্ত্রীর কাছে রুবেলের স্থায়ী কবরের জন্য স্ত্রীর কান্না।

প্রধানমন্ত্রীর কাছে রুবেলের স্থায়ী কবরের জন্য স্ত্রীর কান্না।
নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলা কাগজ : ব্রেন টিউমার ও ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে গত ১৯ এপ্রিল না ফেরার দেশে পাড়ি জমান বাংলাদেশের দলের সাবেক ক্রিকেটার মোশাররফ হোসেন রুবেল। মৃত্যুর পর এই ক্রিকেটারের শেষ আশ্রয়স্থল হয় বনানী কবরস্থান। যেখানে অস্থায়ী ভিত্তিতে কবরের জায়গা পেয়েছেন রুবেল। দুই বছর পর তাঁর জায়গায় অন্য কেউ আশ্রয় করে নেবেন। মোশাররফ রুবেলের স্ত্রী ফারহানা রুপা, স্বামীর কবর এখান থেকে স্থানান্তর করা হোক চান না। আর তাই প্রধানমন্ত্রী ও মেয়রের কাছে তিনি আবেদন করেছেন, বনানী কবরস্থানে যেনো রুবেলের কবর স্থায়ী করা হয়। তাঁদের সন্তান যেনো, জানতে পারে তাঁর বাবা রুবেল চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন বনানীর এই কবরস্থানে। রুবেলের কবর জেয়ারত শেষে আজ (২২ এপ্রিল) বনানীর কবরস্থানের বাইরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন ফারহানা রুপা। সেখানে স্বামীর স্থায়ী কবরের জন্য এমন আবেদন করেন রুবেলের স্ত্রী রুপা। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন ‘রুবেল তো আসলে আমাদের সবার, না? রুবেল তো দেশের জন্য খেলেছে। মাত্র দুই বছরের জন্য সে এখানে। সত্যি বলতে এখানে স্থায়ী করতে হলে অনেক টাকা লাগে। প্রায় এক কোটির মতো। আমাদের কাছে তো এতো টাকা নেই। আমি চাই রুবেলের কবরটা স্থায়ী হক। ও যেন একটু মাটি পায়।’ বনানী কবরস্থানের নিয়ম অনুযায়ী দুই বছর পর কবর পরিবর্তন হয়ে যায়। যদি কেউ কবর স্থায়ী করতে চায়, তবে তাঁকে প্রচুর অর্থ দিয়ে নির্দিষ্ট জায়গা কিনে নিতে হয়। আর সেটি নিজেদের পক্ষে সম্ভব নয় বলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করে ফারহানা রুপা আরও বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার একটাই চাওয়া, আপনি তো অনেককেই অনেক কিছু দেন। ক্রিকেটারদের জন্য অনেক কিছু করেন। রুবেলের মতো মৃত ক্রিকেটারকে কি এক ফোটা মাটির ব্যবস্থা করে দেবেন। শুধু একটি স্থায়ী কবর। আর কিছু চাওয়া নেই আমার।’ নিজেদের একমাত্র সন্তান রুশদানের প্রসঙ্গ টেনে কান্না করতে করতে তিনি আরও যোগ করেন, ‘রুবেলের জন্য একটু মাটি যেনো, আমার ছেলেটা দেখতে পারে। দুই বছর পর তুলে ফেললে আমরা তো আর পাবো না। রুবেল তো আর কোথাও নেই, হারিয়ে গেছে। আমাদের আর দেশবাসীর জন্য শুধু এখানেই আছে।’