পাকিস্তানে তিনদিন পর মুক্ত জিম্মিরা : সকল জঙ্গি নিহত

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ ও ডন : পাকিস্তানে কাউন্টার টেরোরিজম ডিপার্টমেন্ট (সিটিডি) কম্পাউন্ডে জঙ্গিদের জিম্মি থেকে তিনদিন পর মুক্তি পেয়েছেন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। তাঁদের মুক্ত করতে সেনাবাহিনীর স্পেশাল সার্ভিস গ্রুপ (এসএসজি) অভিযান চালায়। এতে সেখানে থাকা ৩৩ জঙ্গির সবাই নিহত হয়েছে। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ পার্লামেন্টকে এ কথা জানিয়েছেন। খবর জিও নিউজের।

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খাইবার পাখতুনখাওয়ার বান্নু বিভাগের সিটিডি কম্পাউন্ড মূলত একটি কারাগারবিশেষ। গ্রেপ্তার জঙ্গিদের এখানে রাখা হয়। গত রোববার বন্দিদের একজন এক নিরাপত্তারক্ষীর অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার পর জঙ্গিরা কম্পাউন্ডটির নিয়ন্ত্রণ নেয়। তারা নিরাপত্তা বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্যকে জিম্মি করে। জঙ্গিরা নিরাপদে আফগানিস্তান যাওয়ার দাবি করেছিলো।

পাকিস্তান পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে অভিযানের বিষয়টি তুলে ধরে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) বেলা আড়াইটার দিকে কম্পাউন্ডটির পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নেয় এসএসজি। সব জিম্মিকে মুক্ত করা হয়েছে। সিটিডি কম্পাউন্ডে ৩৩ জঙ্গি বন্দি ছিলো উল্লেখ করে তিনি আরও জানান, সব জঙ্গি এক গোষ্ঠীর ছিলো না; বরং তারা নিষিদ্ধ বিভিন্ন সংগঠনের সদস্য ছিলো। আজকের এ অভিযানে ১০ থেকে ১৫ জন সেনা আহত হয়েছেন। তাঁদের দুজন মারা গেছেন।

সিটিডি সেন্টারে জিম্মি করার বিষয়টি স্বীকার করেছে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি)।

এর আগে এক ভিডিও বক্তব্যে টিটিপির মুখপাত্র বলে, জিম্মিকারীরা নিরাপদ প্রস্থানের দাবি জানিয়েছিলেন। কিন্তু বাস্তব অবস্থা সম্পর্কে ধারণা না থাকায় তাঁরা ভুল করে আফগানিস্তানের নাম উল্লেখ করেন।

অবরুদ্ধ সিটিডি কম্পাউন্ডে থাকা জঙ্গিরাও সোমবার কয়েকটি ভিডিও প্রকাশ করে। তারা বান্নুর জনগণ, বিশেষ করে ওলামাদের এগিয়ে আসার এবং আলোচনার মাধ্যমে জঙ্গি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে সৃষ্ট ‘অচলাবস্থা অবসানের’ আহ্বান জানিয়েছিলো।