পাইকগাছায় পাটের ফলন ভালো। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২০ হেক্টর বেশি জমিতে চাষ।

পাইকগাছায় পাটের ফলন ভালো। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২০ হেক্টর বেশি জমিতে চাষ।

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঙলা কাগজ; ইমদাদুল হক, পাইকগাছা (খুলনা) : খুলনার পাইকগাছায় চলতি মৌসুমে ৩৭৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষ হয়েছে। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২০ হেক্টর বেশি। পাটের বর্তমান বাজারমূল্যে ভালো থাকায় এর চাষ বেড়েছে বলেই কৃষি বিভাগ জানিয়েছে।

আর আবহাওয়া ভালো থাকলে পাটের ভালো ফলন হবে বলেই আশা করছেন পাট চাষিরা। 

জানা গেছে, একটা সময় ছিলো যখন উপজেলার সব এলাকায় পাটের চাষ হতো। এমন কোনও পরিবার বা জমি ছিলো না, যেখানে পাটের চাষ হতো না। পাটের বাজারমূল্য কমে যাওয়ায় ধীরে ধীরে পাটের চাষও কমে আসে। এক্ষেত্রে পাটের জমিতে করা হয় নার্সারি। ফলে এই এলাকা থেকে হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল পাট। এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে পাটের বাজারমূল্য বৃদ্ধি হওয়ায় এবং সরকার পাট চাষে উদ্বুদ্ধ করতে কৃষকদের নানাভাবে সহায়তা প্রদান করায় আবারও পাট চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের। 

কৃষি বিভাগ জানায়, পাট চাষ করলে জমি উর্বর থাকে। শস্য চাষের নিবিড়তা বৃদ্ধি পায়। 

এ ছাড়া পাট খড়ি জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায়। পাট দিয়ে এখন বিভিন্ন প্রকার পাটজাত পণ্য তৈরি করা যাচ্ছে। বাজার যার যথেষ্ট চাহিদা এবং কদর রয়েছে। 

এবার পাইকগাছায় ২ দশমিক ১ মেট্রিক টন (১২ বেল) পাটের উৎপাদন হতে পারে বলেই জানিয়েছেন কৃষি বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা। 

সহকারি পাট কর্মকর্তা অনিরুদ্ধ কুমার বৈদ্য বাঙলা কাগজ ও ডনকে জানান, উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর পাট ও পাট বীজ সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় এ (পাইকগাছা) উপজেলায় ৬৩৩ একর জমিতে প্রনোদনা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। যার মধ্যে বীজ, রাসায়নিক সার ও কৃষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও রয়েছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বাঙলা কাগজ ও ডনকে বলেন, পাট চাষের উপযুক্ত জমিতে নার্সারি গড়ে ওঠায়, পাট চাষ কিছুটা কমে গিয়েছিলো। তবে পাটের বহুমুখী ব্যবহার ও বাজারমূল্য ভালো থাকায় কৃষকরা আবার পাট চাষে এগিয়ে এসেছেন। 

‘এ বছর ৩৫৫ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রার স্থলে ৩৭৫ হেক্টর জমিতে বিজেআরআই তোষা পাট-৮ চাষ হয়েছে।’