নড়াইলে ‘প্রতারণার শিকার হয়ে’ যুবকের বাড়িতে নীলা।

নড়াইলে ‘প্রতারণার শিকার হয়ে’ যুবকের বাড়িতে নীলা।

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঙলা কাগজ; উজ্জ্বল রায়, নড়াইল : নড়াইলের নড়াগাতীতে ‘প্রতারণার শিকার হয়ে’ যুবকের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন পটুয়াখালীর মেয়ে নীলা বেগম (২৫)। স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে গত ২১ ও ২২ আগস্ট মুলশ্রী গ্রামের কবির শেখের বাড়িতে অবস্থান করেছেন তিনি। নীলার অভিযোগ, অন্যের পরিচয়পত্রে নিজের ছবি লাগিয়ে প্রতারণা করে বিয়ে করেছে কবির শেখ। কবিরের বন্ধুর সহায়তায় এই ঠিকানায় এসে বিষয়টি জেনেছেন তিনি। ঘটনার পর থেকেই কবির পলাতক রয়েছেন। সে ওই গ্রামের মোহর শেখের ছেলে।

ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, গত ৬ বছর আগে ঢাকায় গার্মেন্টসে চাকুরির সুবাদে কবিরের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তিনি। দীর্ঘ সম্পর্কের পর চলতি বছরের ১৫ মার্চ তাঁরা ঢাকায় কোর্টের মাধ্যমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। পরে কাজী অফিসের মাধমে ১ লাখ টাকা দেনমোহরে বিবাহ রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করেন। কিন্তু কবির শেখ ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা উপজেলার উলামাকান্দী গ্রামের গফুর মিয়ার ছেলে মো. ইয়াসিন মিয়ার আইডিতে নিজের ছবি লাগিয়ে ওই পরিচয়ে বিয়ে করেন। এবং ২ মাস ঘর সংসার করে ৩ মাস আগে স্ত্রীর রক্ষিত গাড়ি কেনার ৩ লাখ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে ‘চম্পট’ দেন। পাশাপাশি যোগাযোগও বন্ধ করে দেন কবির শেখ।

অবশেষে কবিরের বন্ধুর মাধ্যমে তাঁর আসল পরিচয় পান নীলা বেগম। ২১ আগস্ট তাঁর ভাবীসহ পরিচিত মহিলাকে নিয়ে কবিরের বাড়ীতে আসার পথে কবির তাঁদের বাড়িতে না নিয়ে গোপালগঞ্জ পার্কে নিয়ে বুঝিয়ে চলে যেতে বলে। কিন্তু কবিরের কথা না শুনে স্ত্রীর দাবিতে তাঁর বাড়ীতে আসলে পরিবারের লোকজন নীলাকে মারধর করে তাড়িয়ে দেয়। পরে নীলা একই গ্রামের একটি বাড়ীতে আশ্রয় নেয়। পরদিন স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে আবার কবিরের বাড়িতে অবস্থান করে আত্মহত্যার হুমকি দেয়।

অভিযুক্তের বাবা মোহর শেখ বাঙলা কাগজ ও ডনের কাছে দাবি করেন, কবিরের সঙ্গে তাঁদের কোনও সম্পর্ক নেই। তিনি তাঁকে মৌখিকভাবে ত্যাজ্য করেছেন। এবং ২ বছর তিনি তাঁকে দেখেন নাই। 

তবে কবিরের মা ও পরিবারের অন্যান্যদের বক্তব্যে কবিরের বাড়ী থাকার বিষয়ে ভিন্নতা পাওয়া যায়। 

অভিযুক্ত কবিরের ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।

এ বিষয়ে পহরডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মল্লিক মাহামুদুল ইসলাম ফোন দেওয়া হলেও তিনিও নিরুত্তর থাকেন।