নির্বাচনে আসার বিষয়ে মুরব্বিয়ানা করতে পারে না ইসি : সিইসি

নির্বাচনে আসার বিষয়ে মুরব্বিয়ানা করতে পারে না ইসি : সিইসি

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ ও ডন : রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐকমত্যে পৌঁছাতে নির্বাচন কমিশন মুরব্বিয়ানা করতে পারে না; শুধু সবাইকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানাতে পারে বলে সাফ জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

জাতীয় ভোটার দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) সকালে নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

সিইসি বলেন, ‘আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটারের সংখ্যা ১১ কোটি ৯১ লাখ ৫১ হাজার ৪৪০। তবে ভোটের লাইন বাড়ানোর জন্য কেন্দ্রে আসার প্রথম দায়িত্ব ভোটারদের। নির্বাচন কমিশন ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে নিয়ে আসতে পারবে না।’

হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা যদি হয়, তাহলে রাজনৈতিক দলগুলোর একটা দায়িত্ব রয়েছে। তাঁদের সে দায়িত্ব পালন করতে হবে। আমরা ভোটটা আয়োজন করবো। আমরা আপনাদের ব্যালট পেপার সাপ্লাই করবো, বক্স সাপ্লাই করবো এবং আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক যে সংস্থাগুলো আছে, আমরা তাঁদের স্ট্রিকলি বলে থাকি, আপনারা ভোটকেন্দ্রের চারপাশে প্রত্যাশিত আইন-শৃঙ্খলা এবং অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিত করার চেষ্টা করবেন। তাই দায়িত্বটি কার? দায়িত্বটি সামগ্রিক সমন্বয়ের। এটা আপনাদের অনুধাবন করতে হবে। এককভাবে এই দায়িত্ব কখনোই নির্বাচন কমিশনের নয়।’

‘আগামী ভোট ২০১৪ আর ২০১৮ সালের মতো হবে না, আপনারা কেনো এতো আশাবাদী’- একজন সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে সিইসি বলেন, ‘ওই সমস্ত প্রশ্নে আমি কোনও মন্তব্য করবো না। ’১৮ এবং ’১৪ সালে কী হয়েছে সেগুলো আমরা দেখবো না। আমরা সামনের দিকে এগোচ্ছি। আমাদের জন্য আপনাদের শুভ কামনা রাখবেন, যেনো আমরা আমাদের ওপর অর্পিত দায়িত্বটা আগামীতে সুচারুরূপে পালন করতে পারি।

দলগুলো কী ভোটের দিকে এগোচ্ছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোকে আমরা আগেও বলেছি, তাদের প্রতি আমরা বারবার আবেদন জানাচ্ছি- আপনারা আসুন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন। আপনাদের মধ্যে যদি মত পার্থক্য থাকে, সেটা আপনারা নিরসন করার চেষ্টা করুন। কারণ নির্বাচন কমিশন মুরুব্বিয়ানা করতে পারবে না। কিন্তু আমরা বিনীতভাবে সকল রাজনৈতিক দলকে বলবো, আপনারা যে কোনও প্রকারেই হোক, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুন এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাধ্যমে ভোটকেন্দ্রগুলোতে ভারসাম্য সৃষ্টি করুন। যাতে এই ভারসাম্যের মাধ্যমে ভোটকেন্দ্রে এক ধরনের নিরপেক্ষতা এবং যথার্থতা প্রতিষ্ঠিত হয়।