নিম্নচাপে সাগর উত্তাল : পটুয়াখালীতে ৫ হাজার ট্রলার উপকূলে।

নিম্নচাপে সাগর উত্তাল : পটুয়াখালীতে ৫ হাজার ট্রলার উপকূলে।

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঙলার কাগজ; পটুয়াখালী : বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে পটুয়াখালীসহ পুরো উপকূলজুড়ে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছে। রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) থেকে থেমে থেমে দমকা বাতাস বইছে এবং সঙ্গে চলছে ঝড়ো বৃষ্টি। এর ফলে সাগর উত্তাল হয়ে ওঠেছে।

এতে গভীর সমুদ্রে ও সাগর মোহনায় মাছ ধরার অন্তত পাঁচ হাজার ফিশিং ট্রলার এখন উপকূলে রয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ ট্রলার কুয়াকাটার আলিপুর ও মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে এবং রাঙ্গাবালীর চরমোন্তাজ ও মৌডুবি মৎস্য কেন্দ্রে রয়েছে। 

কুয়াকাটার মহিপুর মৎস্য আড়ত ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ রাজ বাঙলার কাগজ ও ডনকে বলেন, ‘বর্তমানে সাগরে মাছ ধরার কোনও ট্রলার নেই। সব ট্রলার নিরাপদে উপকূলের তীরে ফিরে এসেছে। এসব ট্রলার আলীপুর ও মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে এবং চরমোন্তাজ ও মৌডুবি মৎস্য কেন্দ্রে অবতরণ করেছে।’ 

এদিকে নিম্নচাপ ও পূর্ণিমার প্রভাবে রোববার থেকে মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। এতে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না।

স্থানীয় আবহাওয়া অধিদপ্তরের ইনচার্জ মাহবুবা সুখি বাঙলার কাগজ ও ডনকে জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৮ দশমিক ৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে সমুদ্র বন্দরকে ৩ নম্বর এবং নদী বন্দরকে ১ নম্বর সতর্ক সঙ্কেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। আগামী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত আবহাওয়া অপরিবর্তিত থাকবে।

এদিকে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ২ থেকে ৩ ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে এবং জোয়ারের পানি এবং বৃষ্টির পানিতে একাকার হয়ে গেছে উপকূলের জনপদ। তলিয়ে গেছে বিস্তীর্ণ জনপদ। এতে স্থবির হয়ে পড়েছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। বিশেষ করে বেড়িবাঁধ বিধ্বস্ত হয়ে জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার চালিতাবুনিয়া এবং কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া ইউনিয়ন দুটির অবস্থা খুবই শোচনীয়। জোয়ারের পানি প্রবল বেগে ঢুকে বিস্তীর্ণ জনপদ তলিয়ে গেছে।  

এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের পটুয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফ হোসেন বাঙলার কাগজ ও ডনকে জানান, চালিতাবুনিয়া ও কলাপাড়া ইউনিয়ন দুটির স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ প্রকল্পটির কাজ সম্পন্ন হয়ে গেলে ইউনিয়ন দুটির এই সমস্যাগুলো আর থাকবে না।