নীতিশ-নাইডুর ব্যাপারে ঝুঁকি নেন নি মোদি : নিলেন লিখিত সমর্থন

নীতিশ-নাইডুর ব্যাপারে ঝুঁকি নেন নি মোদি : নিলেন লিখিত সমর্থন

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ : নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর বিজেপির নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (এনডিএ) জোটের শরিক দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বুধবার (৫ জুন) রাজধানী নয়াদিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে হয়েছে এই বৈঠক। নরেন্দ্র মোদির পাশাপাশি বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির অপর দুই শীর্ষ নেতা অমিত শাহ এবং জে পি নাড্ডা।

বিজেপির একটি সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকে অন্যান্য শরিকদের তুলনায় বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং অন্ধ্র প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রবাবু নাইডুর দিকে বিশেষ মনযোগ ছিলো নরেন্দ্র মোদির। এমনকি বৈঠকের গোটা সময় মোদির পাশে ছিলেন এ দুই নেতা।

এবার ২৪০টি আসনে জয় পেয়েছে বিজেপি, আর জোট শরিক দলগুলো সম্মিলিতিভাবে জয়ী হয়েছে ৫৩টি আসনে। তাই এককভাবে সরকার গঠন না করতে পারলেও জোটগতভাবে সরকার গঠনে কোনও বাধা নেই বিজেপির।

এদিকে, মঙ্গলবার (৪ জুন) নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পরপরই গুঞ্জন উঠেছিলো যে, নীতীশ কুমার ও কে চন্দ্রবাবু নাইডু এনডিএ জোট ছেড়ে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইন্ডিয়া জোটে যোগ দিচ্ছেন। জোটের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই দু’জনের যে অতীত রেকর্ড, তাতে এমন গুঞ্জন উঠলে তা ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেওয়া সম্ভব নয় বিজেপির পক্ষে।

তাই এ বিষয়ে আর ঝুঁকি নেন নি নরেন্দ্র মোদি। বৈঠকে নীতীশ কুমার এবং চন্দ্রবাবু নাইডু উভয়ের কাছ থেকেই লিখিত সমর্থন আদায় করে তিনি।

বস্তুত, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ‘ডিগবাজি’ বা দল বদলের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। ২০১৯ সালের নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে এনডিএ জোটে থাকলেও পরে রাজ্য রাজনীতিতে সুবিধার জন্য বিহারের আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল আরজেডির সঙ্গে জোট করেন নীতীশ। আরজেডি ব্যাপকভাবে বিজেপি বিরোধী দল।

আরজেডির সঙ্গে জোটের সুবাদে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন জোট ইন্ডিয়াতেও যোগ দিয়েছিলেন নীতীশ। এমনকি ইন্ডিয়ার অন্যতম মুখপাত্র হিসেবেও মনোনীত হয়েছিলেন।