ধর্ষক আব্দুর রহিমের জালিয়াতি ও প্রতারণায় ক্ষুব্ধ নারীসমাজ

ধর্ষক আব্দুর রহিমের জালিয়াতি ও প্রতারণায় ক্ষুব্ধ নারীসমাজ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঙলার কাগজ; এস চাঙমা সত্যজিৎ, খাগড়াছড়ি : অবিলম্বে জামিন বাতিল পূর্বক গ্রেপ্তার ও যাবজ্জীবন সাজা বহালের দাবি জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামের দুই নারী সংগঠন হিল উইমেন্স ফেডারেশন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘ। শুক্রবার (১৪ জুলাই) হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি নীতি চাকমা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম নারী সংঘের সভাপতি কণিকা দেওয়ান সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত এক যৌথ বিবৃতিতে ধর্ষক আব্দুর রহিমের বিতর্কিত জামিন বাতিল করে পূর্বে প্রদত্ত যাবজ্জীবন সাজা বহাল রাখার দাবি জানান।

বিবৃতিতে নেত্রীদ্বয় বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রতিনিয়ত নারীর উপর যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। যার মধ্যে অনেক ঘটনা ধামাচাপা পড়ে আলোর মুখ দেখতে না পেলেও ২০২০ সালে ২৫ সেপ্টেম্বর করল্যাছড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ধর্ষক আব্দুর রহিম কর্তৃক এক ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারাদেশে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় তোলে। গণরোষের মুখে প্রশাসন ধর্ষক আব্দুর রহিমকে গ্রেপ্তার করে এবং বিচারে তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। 

২০২২ সালে ২৯ নভেম্বর ধর্ষক আব্দুর রহিমকে দেওয়া এ রায় উচ্চ আদালতের প্রতি পার্বত্যবাসীদের মনে আস্থা ফিরিয়ে আনে, ন্যায় প্রতিষ্ঠা হয়েছে ধরে নিয়ে স্বস্তিবোধ করেন সবাই। কিন্তু এই রায়ের কয়েক মাস যেতে না যেতেই ধর্ষক আব্দুর রহিম মিথ্যা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ভিকটিমকে বিয়ে করা ও এক একর জমি লিখে দেওয়ার শর্তে জামিন পায়। তা একদিকে উচ্চ আদালতকেও বিতর্কিত করেছে। অন্যদিকে ভিকটিমের প্রতি চরম অবিচার, তাঁকে লাঞ্ছিত ও হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে।

নেত্রীদ্বয় অবিলম্বে ধর্ষক আব্দুর রহিমকে জালিয়াতি ও ‘ভুয়া কাগজপত্র’ দেখিয়ে মিথ্যার আশ্রয় নেওয়ার অপরাধে গ্রেপ্তার এবং আলাদাভাবে জালিয়াতি আইনে বিচার ও সাজা প্রদানসহ পূর্বের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। অন্যথায় দুই নারী সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম এবং পার্বত্য অঞ্চলের বাইরে সমমনা বন্ধুপ্রতিম সংগঠনের সহায়তায় কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে।

উল্লেখ করা যেতে পারে, লংগদু উপজেলার করল্যাছড়ি আরএস উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিম এক ছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড সাজা পান। পরে তিনি ভিকটিমকে বিয়ে ও এক একর জমি লিখে দেওয়ার শর্তে জামিন পান।