ধর্ম ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু।

ধর্ম ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান শুরু।

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলা কাগজ : মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত ১১৬ জন ধর্ম ব্যবসায়ীর সম্পদ ও মৌলবাদী তৎপরতায় অর্থ খরচের সঙ্গে জড়িত ১ হাজার মাদরাসা পরিচালনার কার্যক্রম অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (২২ জুন) এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করেছে কমিশন। দুদক সূত্রে এ  তথ্য জানা গেছে।

আদেশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের দুই হাজার দিন- প্রথম ও দ্বিতীয় খণ্ড সম্বলিত শীর্ষক ২ হাজার ২ শ পৃষ্ঠার শ্বেতপত্রটি অভিযোগ হিসেবে আমলে নিয়ে অনুসন্ধানের জন্য ৩ সদস্যের বিশেষ অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে।
গণকমিশনের চেয়ারপারসন বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল গত ১১ মে দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহর হাতে ওই শ্বেতপত্র তুলে দেন। কমিশন শ্বেতপত্রটি প্রাথমিকভাবে যাচাই করে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেয়।

দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে অনুসন্ধান টিমের অপর দুই সদস্য হলেন : কমিশনের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহীম ও মো. আহসানুল কবীর পলাশ।

দুদক সূত্র জানায়, গণকমিশনের ওই শ্বেতপত্রে মৌলবাদ ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের সঙ্গে জড়িত ১১৬ ধর্ম ব্যবসায়ী ও মৌলবাদী তৎপরতার সঙ্গে জড়িত ১ হাজার মাদরাসার তালিকা রয়েছে। ওইসব ধর্ম ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে সারাদেশে মৌলবাদী তৎপরতা, সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস, জ্বালাও-পোড়াও, অনিয়ম, দুর্নীতি ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ করা হয়েছে।

গণকমিশন সূত্র জানায়, তারা ৯ মাস তদন্ত করে ২ হাজার ২ শ পৃষ্ঠার শ্বেতপত্রটি তৈরি করে। তাতে বহু ভুক্তভোগীর স্বাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। তদন্তে ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর দুর্নীতি ও মানি লন্ডারিংয়ের প্রমাণ পাওয়া গেছে। জঙ্গিবাদ ছড়াতে জামায়াত ধর্ম ব্যবসায়ী গোষ্ঠীকে অর্থায়ন করে- এমন তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের সন্ত্রাসী তৎপরতা ও দুর্নীতির তথ্য দুদকে জমা দেওয়া হয়েছে। শ্বেতপত্রে উল্লেখ করা ১১৬ জনকে ধর্ম ব্যবসায়ী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানের ডিসি, এসপি, ইউএনওসহ যারা এই গোষ্ঠীকে উসকানি দিচ্ছেন, শ্বেতপত্রে তাদের নামও উল্লেখ করা হয়েছে।

গণকমিশন সূত্র আরও জানায়, এক হাজার মাদরাসা ও ওয়াজকারীদের নাম শ্বেপত্রে বিস্তারিত দেওয়া হয়েছে। তাতে সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী ও হেফাজতের বেআইনি অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড উঠে এসেছে। মৌলবাদী গোষ্ঠী দেশে সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প ছড়াতে বিপুল অংকের অর্থ খরচ করছে। তাতে তরুণ সমাজ বিপথগামী হচ্ছে।