ঢাকায় রানী এলিজাবেথের জন্মদিন উদ্‌যাপন।

ঢাকায় রানী এলিজাবেথের জন্মদিন উদ্‌যাপন।

বাসস : ব্রিটিশ হাইকমিশন (বিএইসি) রাজধানীতে বর্ণাঢ্য সংবর্ধনার মধ্য দিয়ে রানী এলিজাবেথের ৯৬তম জন্মদিন উদ্‌যাপন করেছে। ব্রিটেনের রানী হিসেবে তাঁর ৭০ বছর পূর্ণ হওয়া উপলক্ষে প্লাটিনাম জুবিলি পালন করায়, এ বছরের এই দিনটি ছিলো বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।

রানী এলিজাবেথ দ্বিতীয়, ব্রিটিশ ইতিহাসে অন্য যে কোনও রাজার চেয়ে দীর্ঘ সময় শাসন করায়, গোটা বিশ্বেই তিনি হয়ে উঠেছিলেন প্রিয় ও সম্মানিত এক ব্যক্তিত্ব।

যুক্তরাজ্যে জুনে সপ্তাহান্তের চারদিনব্যাপী প্লাটিনাম জুবিলি উদ্‌যাপিত হবে। এ উপলক্ষে ঢাকায় বুধবার (২৫ মে) সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত সংবর্ধনায় বাংলাদেশ সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে ড. চৌধুরী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্যের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন এবং ইতোপূর্বে ঢাকা ও লন্ডন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী পালন করেছে। স্পিকার ১৯৭২ সালে বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ায় রানী এলিজাবেথ দ্বিতীয়-এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চাটার্টন ডিকসন বলেন, তিনি (রাণী) যুক্তরাজ্য এবং কমনওয়েলথের জন্য শক্তির এক অবিশ্বাস্য উৎস ছিলেন এবং এ সময়টিতে কমনওয়েলথের ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। 

তিনি বলেন, ‘আজ আমাদের অংশীদারদের উদারতার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বাংলাদেশে মেয়েদের শিক্ষা ও নারী ক্ষমতায়নের কারণে আমরা একটি অনুদান দিচ্ছি।’  

হাইকমিশনার বলেন, তাঁরা রানীর দৃষ্টান্তমূলক নিবেদিত কর্মময় জীবনের প্রতি সশ্রদ্ধ এবং তাঁর রাজত্বজুড়ে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার জন্য যে সাফল্য অর্জিত হয়েছে, তা উদ্‌যাপন করছি।

এই জুবিলির মাধ্যমে তাঁর সম্মানে বার্মিংহামে ২০২২ কমনওয়েলথ গেম ও বিবিসি’র শতবর্ষসহ যুক্তরাজ্য সংস্কৃতি ও সৃজনশীলতার ‘এম্পাওয়ারিং গার্লস টু চেইঞ্জ দেয়ার ওয়ার্ল্ড’ শিরোনামে একটি উদ্দীপনাময় বছর হিসেবে নিবেদিত হয়েছে।

ব্রিটিশ হাইকমিশন অনুষ্ঠানে সারা বাংলাদেশ থেকে মেয়েদের ও নারীদের আমন্ত্রণ জানায়, তাঁদেরকে অতিথিদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে তাঁরা তাঁদের  ভবিষ্যত স্বপ্নের কথা ব্যক্ত করেন।

এই অনুষ্ঠানের জন্য প্রাপ্ত অর্থের একটি উল্লেখ্যযোগ্য অংশ ব্রিটিশ কাউন্সিলের ইডিজিই কর্মসূচির মাধ্যমে সারা বাংলাদেশে নারী শিক্ষার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে এবং বর্তমানে বাংলাদেশের ২ হাজার ৪ শ যুব মেয়েদের প্রশিক্ষণ প্রদান এবং তাঁদের অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে ও আত্মপ্রত্যয়ী হতে সাহায্য করছে।