ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূকম্পন অনুভূত

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূকম্পন অনুভূত

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ : রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ১৪ আগস্ট (সোমবার) রাত ৮টা ৪৯ মিনিট ৪৪ সেকেন্ডে কেঁপে ওঠে ঢাকা। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস জানিয়েছে, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিলো ৫ দশমিক ৫। ভারতের আসামের করিমগঞ্জ জেলা থেকে ১৮ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে এই ভূমিকম্পের উৎপত্তি। এর কেন্দ্র ছিলো ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। বাংলাদেশ, ভারত, ভুটান, নেপাল, মিয়ানমারে একযোগে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান জানান, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিলো রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৫। এর উৎপত্তিস্থল ভারতের আসাম ও মেঘালয়।

জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্স (জিএফজেড) জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিলো ৫ দশমিক ২।

আর গুগলের অ্যান্ড্রয়েড আর্থকোয়েক অ্যালার্টস সিস্টেম বলছে, বাংলাদেশের সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার ৪ কিলোমিটার দূরে ভারত সীমান্তে এ ভূমিকম্পের উৎপত্তি।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জরুরি পরিচালন কেন্দ্র থেকে জানানো হয়েছে, প্রাথমিকভাবে ভূমিকম্পে কোনও ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায় নি।

ভূমিকম্প গবেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজাস্টার সায়েন্স অ্যান্ড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্স বিভাগের অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেছেন, ভূমিকম্পটি ছোট মাত্রার। এ অঞ্চলে সেটা বারবার সংঘটিত হয়ে আসছে। ভূতাত্ত্বিকভাবে সক্রিয় অঞ্চলে ছোট ছোট ভূমিকম্প হওয়ার অর্থ এখানকার ভূঅভ্যন্তরে শক্তি সঞ্চিত হচ্ছে। এর বহিঃপ্রকাশ ঘটছে মাঝেমধ্যে। তবে ভূ-অভ্যন্তরস্থল প্রবল শক্তি সঞ্চয় করে আছে। ভূতাত্ত্বিকভাবে সক্রিয় এই প্লেট বাউন্ডারি ও চ্যুতি অঞ্চলের ছোটখাটো ভূমিকম্প ইঙ্গিত দেয়, আরও কোনও বড় ভূমিকম্প আসতে পারে।

ন্যাশনাল ওশানোগ্রাফিক অ্যান্ড ম্যারিটাইম ইনস্টিটিউটের আবহাওয়া ও সমুদ্র বিজ্ঞানী ড. মোহন কুমার দাশ বলেন, ভূমিকম্পের আগাম সতর্ক ব্যবস্থা এখনও জনবান্ধব পর্যায়ে পৌঁছে নি। এজন্য ঘনবসতি ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা আগে থেকেই চিহ্নিত করে রাখতে হবে। ভূমিকম্পের সময় মানুষ কোন নিরাপদ জায়গায় যাবে? শহরে, এমনকি গ্রামেও খেলার মাঠ, খোলা জায়গা না থাকা খুবই বিপজ্জনক। ভূমিকম্পের সময় করণীয় নিয়ে ড্রিল করানোসহ আগাম প্রস্তুতি থাকা আমাদের জন্য খুবই প্রয়োজন।

বহুতল ভবনের বাসিন্দারা আতঙ্কে : আমাদের সিলেটের নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, সিলেটে ভূমিকম্পের সময় বহুতল ভবনের বাসিন্দাসহ লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়। এ সময় অনেকে দৌড়ে ঘর কিংবা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে বের হন। তাৎক্ষণিকভাবে ভূমিকম্পে কোনও ক্ষয়কতির খবর পাওয়া যায় নি।

সিলেটের আবহাওয়াবিদ শাহ সজিব হোসাইন জানান, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিলো ৫ দশমিক ৫, যার গভীরতা ৩৫ কিলোমিটার।

এর আগে গত ১৬ জুন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভূমিকম্প অনুভূত হয়ে। তখন রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ৪ দশমিক ৫। উৎপত্তিস্থল সিলেটের গোলাপগঞ্জ।