টিপু হত্যা মামলায় মুসার ৬ দিনের রিমান্ড।

টিপু হত্যা মামলায় মুসার ৬ দিনের রিমান্ড।

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলা কাগজ : আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম টিপু ও কলেজশিক্ষার্থী সামিয়া আফরান জামাল প্রীতি হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন সুমন শিকদার ওরফে মুসার ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

শুক্রবার (১০ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারাহ দিবা ছন্দা শুনানি শেষে এ রিমান্ডের আদেশ দেন। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ ইয়াসিন শিকদার মুসাকে আদালতে হাজির করে ১৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, মূল শুটার মাসুম মোহাম্মদ আকাশ ও নাসিরুদ্দিন মনিক আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তাঁরা হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মুসা এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। ঘটনায় জড়িত অজ্ঞাতনামা আসামিদের গ্রেপ্তার ও মামলার মূল রহস্য উদ্‌ঘাটনের জন্য আসামিকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন।

শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু রিমান্ড মঞ্জুরের আবেদন করেন। আসামির পক্ষে অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত মুসার ৬ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

উল্লেখ্য, গত ২৪ মার্চ রাতে মতিঝিল এজিবি কলোনী কাঁচা বাজার সংলগ্ন রেস্টুরেন্ট থেকে বাসায় ফেরার পথে শাজাহানপুর আমতলা ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের সামনে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের এলোপাথাড়ি গুলিতে নিহত হন জাহিদুল ইসলাম টিপু এবং কলেজছাত্রী প্রীতি। এ সময় টিপুর গাড়িচালক গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনায় টিপুর স্ত্রী ফারজানা ইসলাম ডলি মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়।

মামলা দায়েরের পর গত ২৮ মার্চ শুটার মাসুম মোহাম্মদকে গ্রেপ্তার করে সাত দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। রিমান্ড শেষে ৫ এপ্রিল মাসুম আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। বর্তমানে তিনি কারাগারে রয়েছেন। মামলায় গত ৩ এপ্রিল ঢাকা দক্ষিণ সিটির ১০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক, আবু সালেহ শিকদার ওরফে শুটার সালেহ, মো. নাছির উদ্দিন ওরফে কিলার নাছির, মো. মোরশেদুল আলম ওরফে কাইল্লা পলাশ ও আরফান উল্লাহ দামালের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।