টুইটারের নতুন সিইও’র বেতন ১০ লাখ মার্কিন ডলার।

টুইটারের নতুন সিইও’র বেতন ১০ লাখ মার্কিন ডলার।
ডন প্রতিবেদন : টুইটারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত পরাগ আগরওয়াল। নতুন দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি কত বেতন পেতে যাচ্ছেন, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে আগ্রহ। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম লাইভমিন্ট বলছে, প্রতিবছর তিনি শুধু বেতনই পাবেন ১০ লাখ মার্কিন ডলার। পাশাপাশি অন্য সুযোগ-সুবিধা ও বোনাস তো রয়েছেই। ২০১৭ সাল থেকে টুইটারের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা (সিটিও) হিসেবে কর্মরত ছিলেন পরাগ। তিনি প্রতিষ্ঠানটির প্রযুক্তিগত কলাকৌশলগুলো দেখভাল করতেন। এর আগে ২০১১ সালে সফটওয়্যার প্রকৌশলী হিসেবে টুইটারে যোগ দেন তিনি। সফটওয়্যার উন্নয়নের ধারায় অগ্রগতি আনা এবং সর্বস্তরে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মেশিন লার্নিং প্রযুক্তি প্রয়োগের দায়িত্ব ছিলো তাঁর ওপর। পরাগ আগরওয়ালের বেতন ও সুযোগ-সুবিধার বিষয়টি নিয়ে মার্কিন সিকিউরিটি ও এক্সচেঞ্জ কমিশনে নথিপত্র দাখিল করেছে টুইটার। সেখানে বার্ষিক বেতনের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। বলা হয়েছে, মূল বেতনের পাশাপাশি ১৫০ শতাংশ বোনাস পাবেন পরাগ। একইসঙ্গে টুইটারের শেয়ারের অংশও পাবেন। ৩৭ বছর বয়সী পরাগ আগরওয়াল মুম্বাইয়ের আইআইটি থেকে স্নাতক শেষ করেন। পরে যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি নেন। এর আগে গত ২৯ নভেম্বর টুইটারের সিইও পদ থেকে সরে দাঁড়ান জ্যাক ডরসি। উত্তরসূরি হিসেবে ঘোষণা করেন পরাগের নাম। তবে পদত্যাগ করলেও ২০২২ সাল পর্যন্ত টুইটারের বোর্ড কমিটিতে থাকছেন ডরসি। কেনো টুইটারের সিইওর পদ ছাড়ছেন এবং কেননোপরাগ সে কাজের উপযুক্ত- তা জানিয়ে ডরসি বলেন, ‘আমি টুইটার ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কারণ, আমি বিশ্বাস করি, প্রতিষ্ঠানটি এর প্রতিষ্ঠাতাদের ছাড়িয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত। টুইটারের সিইও হিসেবে পরাগের ওপর আমার গভীর আস্থা রয়েছে। গত ১০ বছরে তাঁর কাজে নানা পরিবর্তন এসেছে। আমি তাঁর দক্ষতা, হৃদয় ও আত্মার জন্য গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। এবার তাঁর নেতৃত্ব দেওয়ার সময়।’ এরপর এক বিবৃতিতে পরাগ বলেন, ‘আমার নেতৃত্বে আস্থা রাখার জন্য পরিচালনা পর্ষদকে এবং শিক্ষা, সমর্থন ও অংশীদারত্বের জন্য ডরসিকে ধন্যবাদ দিতে চাই। ডরসির নেতৃত্ব আমরা যা অর্জন করেছি, আমি সেটার ভিত্তিতেই সবকিছু গড়তে চাই।’