জঙ্গিরা অনলাইনে ভয়াবহ রকম সক্রিয় : এটিইউ প্রধান

জঙ্গিরা অনলাইনে ভয়াবহ রকম সক্রিয় : এটিইউ প্রধান

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ : অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের (এটিইউ) প্রধান এবং অতিরিক্ত আইজিপি এস এম রুহুল আমিন বলেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে জঙ্গিরা হয়তো ততোটা সংগঠিত নয়। তবে তারা বসে নেই। জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভয়াবহ রকম সক্রিয় রয়েছে। তারা নিয়মিত অনলাইনে সংগঠনের সদস্য সংগ্রহ করছে।

তিনি বলেন, অনলাইন মনিটরিং করে বিভিন্ন সময় জঙ্গি সংগঠনের সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারদের কাছ থেকে যেসব তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, তা আরও ভয়াবহ।

সোমবার (১৯ জুন) রাজধানীর মিরপুর পুলিশ স্টাফ কলেজের মাল্টিপারপাস হলে ‘উগ্রবাদী, জঙ্গিবাদ ও সহিংসতা চরমপন্থা প্রতিরোধে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ প্রশিক্ষণ কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। দিনব্যাপী এই কর্মশালার আয়োজন করে অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ)।

এটিইউয়ের সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া) ওয়াহিদা পারভীনের সঞ্চলনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শবনাম আজিম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এটিইউয়ের ডিআইজি (অপারেশন) মনিরুজ্জামান। 

অনুষ্ঠানে অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের ডিআইজি (প্রশাসন) মফিজ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর (ভারপ্রাপ্ত) ড. এ এফ এম মাসুম রব্বানী।

অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত আইজিপি রুহুল আমিন বলেন, জঙ্গিবাদের ক্ষেত্রে তৃপ্তি পাওয়ার কিছু নেই। তারা অনলাইনে ভয়াবহভাবে সক্রিয় আছে। সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে জঙ্গিরা নতুন কর্মী সংগ্রহ, সমর্থক সংগ্রহে ভয়াবহভাবে সক্রিয় রয়েছে। এটিইউয়ের অনলাইন পেট্রোলিংয়ে আমরা অহরহ এসব দেখছি।’

এখন পর্যন্ত এটিইউ দেড় শতাধিক অভিযান পরিচালনা করে ২৫০-এরও বেশি জঙ্গি গ্রেপ্তার করেছে জানিয়ে রুহুল আমিন বলেন, ‘তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে জঙ্গিদের কাছ থেকে যে তথ্য আসছে, তা ভয়ঙ্কর।’

এটিইউ প্রধান বলেন, একজন তরুণ বিপদ না বুঝে যেভাবে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হচ্ছে, এর বিপদ ভয়াবহ। এসব নিয়ে জনসাধারণকে সচেতন করার সুযোগ আছে গণমাধ্যমের। বাংলাদেশে প্রথম পর্যায়ে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়া সদস্যরা আফগানিস্তান ও কাশ্মীরে যুদ্ধ করে দেশে ফিরে সেই মতাদর্শ ছড়িয়েছে।