চরম গরমে যুক্তরাজ্যে ‘জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা।

চরম গরমে যুক্তরাজ্যে ‘জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা।

নিজস্ব প্রতিবদেন, বাঙলা কাগজ : চরম তাপপ্রবাহের কারণে যুক্তরাজ্যে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। দেশটির বিভিন্ন এলাকায় প্রথমবারের মতো চরম তাপপ্রবাহজনিত লাল সতর্কতা (রেড অ্যালার্ট) জারির পর এ ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। খবর বিবিসির।

লন্ডন, ম্যানচেস্টার, ইয়র্কসহ বিভিন্ন এলাকায় আগামী সোম ও মঙ্গলবারের জন্য লাল সতর্কতা দিয়েছে যুক্তরাজ্যের আবহাওয়া বিভাগ। এর মানে হলো, এসব এলাকার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছাতে পারে এবং জীবনের জন্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। এর জন্য দৈনন্দিন জীবনযাপনের পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনতে হবে।

চরম তাপপ্রবাহের কারণে দেশটির রেললাইনগুলোয় ট্রেন চলাচলের গতি সুনির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। কিছু স্কুলে আগাম ছুটি দেওয়া হয়েছে।

সড়কগুলোয় জমে থাকা বরফ গলে যাওয়া ঠেকাতে সেখানে বালু ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ব্রিটিশ অটো মোটিভ সার্ভিসেস কোম্পানি আরএসি সতর্ক করেছে, গাড়িগুলো আরও গরম হয়ে গেছে। এমন অবস্থায় আরও বেশি করে চালকদের সহযোগিতা করা প্রয়োজন।

আবহাওয়া বিভাগের পাশাপাশি যুক্তরাজ্যের হেলথ সিকিউরিটি এজেন্সিও তাপপ্রবাহের কারণে স্বাস্থ্যজনিত সর্বোচ্চ ৪ মাত্রার সতর্কতা জারি করেছে। অর্থাৎ এ ধরনের তাপপ্রবাহের মধ্যে মানুষ শারীরিকভাবে অসুস্থ হতে পারে এবং মৃত্যুও হতে পারে। এর জন্য স্থানীয় লোকজনকে স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে এবং শরীরের যত্ন নিতে হবে।

শুক্রবার (১৫ জুলাই) সন্ধ্যায় যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের নেতারা সতর্ক করে বলেছেন, চলমান পরিস্থিতিতে অ্যাম্বুলেন্সের চাহিদা বেড়ে যেতে পারে। গরম আবহাওয়ার মধ্যে হাসপাতালের বাইরে জরুরি সেবার গাড়িতে রোগীদের অপেক্ষায় রাখা হলে তাদের জীবন ঝুঁকিতে পড়তে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে।

এক চিঠিতে নেতারা বলেছেন, হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে অপেক্ষায় থাকা অ্যাম্বুলেন্সগুলো থেকে ৩০ মিনিটের মধ্যে রোগীদের নামানোর প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে।

যুক্তরাজ্যে আংশিকভাবে লাল তাপপ্রবাহ সতর্কতা জারির ঘটনা এবারই প্রথম। অবশ্য দেশটিতে চরম তাপপ্রবাহজনিত সতর্কতা ব্যবস্থাই চালু হয়েছে ২০২১ সালে।

ডাউনিং স্ট্রিট বলছে, এ সতর্কতাকে জাতীয়ভাবে জরুরি অবস্থা বলে বিবেচনা করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এ নিয়ে শুক্রবার বৈঠক করেছেন। সপ্তাহের শেষের দিকে আবারও তাঁরা বৈঠক করবেন।

উত্তর আফ্রিকায় সৃষ্ট তাপপ্রবাহ ইউরোপজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে। পর্তুগাল, ফ্রান্স ও স্পেনে দেখা দিয়েছে দাবানল।