চৌমুহনীর মন্দিরে হামলা : লুণ্ঠনের সামগ্রীসহ গ্রেপ্তার ৪

ডন প্রতিবেদন : গত ১৫ অক্টোবর নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানার চৌমুহনীতে শ্রী শ্রী রাধামাধব জিউর মন্দিরে হামলা ও লুটের ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ সোমবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারের র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। তিনি বলেন, ‘র‌্যাব-১১ গত ৭ নভেম্বর রাতে রাজধানীর ডেমরা, নারায়ণগঞ্জের বন্দর ও নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে অভিযান চালিয়ে চৌমুহনীর মন্দিরে হামলা ও লুটপাটে জড়িত মনির হোসেন ওরফে রুবেল (২৮), জাকের হোসেন ওরফে রাব্বি (২০), মো. রিপন (২১) ও মো. নজরুল ইসলাম ওরফে সোহাগকে (৩৬) গ্রেপ্তার করে।’ সে সময় তাঁদের কাছ থেকে মন্দিরের লুণ্ঠিত পূজার সামগ্রী ৭টি পিতলের তৈরি প্রতিমা, ৩টি সিঁদুরের কৌটা, ২০টি বাতির কৌটা, ২টি দ্রুপতি, ৫টি পঞ্চবাতির দানি, ২টি হাত ঘণ্টা, ১০টি স্ট্যান্ডসহ মুছি বাতি, ১টি কুলা, ৫টি পঞ্চ পাতার পল্লব, ১ টাকা মূল্যের ৫৫০টি কয়েন, ১১টি গ্লাস, ৫টি বাসন, ৭টি ঘটি, ৪টি ইমিটিশনের গলার হার ও ২টি মালা জব্দ করা হয় বলে জানান তিনি। জব্দকৃত সামগ্রীর মধ্যে আরও রয়েছে- ৬টি ইমিটিশনের হাতের বালা, ৬ জোড়া ইমিটিশনের কানের দুল, ১টি ইমিটিশনের চেইন, ১২টি বিভিন্ন রকমের চুল বাঁধার কাঁকড়া, ৬টি নেইল পলিশ, ১ সেট পিতলের অলঙ্কার, ২টি মঙ্গলসূত্র এবং ১টি আগরবাতি দানি। এ ছাড়াও মন্দিরে হামলায় ১টি পিতলের ডাব, ১টি ওম, ২টি কাসন, ১ সেট আকমন পাত্র, নগদ ৩০৫ টাকা ও ৪০টি পিতলের তৈরি বিভিন্ন আইটেমের পূজায় ব্যবহৃত ভাঙা/অসম্পূর্ণ অংশ উদ্ধার করা হয়। হামলায় অংশ নেওয়ার সময় মনির হোসেন ওরফে রুবেলের পরিহিত গেঞ্জি-লুঙ্গি ও হামলায় ব্যবহৃত সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়। র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে- রুবেল, রাব্বী ও রিপন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের উস্কানিমূলক বক্তব্যের মাধ্যমে প্ররোচিত হয়ে প্রত্যক্ষভাবে হামলায় অংশ নেন। হামলার পর রুরেল, রাব্বী ও রিপন ২টি বস্তায় করে মন্দিরের পূজার সামগ্রীসহ অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী লুট করে নিয়ে যান।’ গ্রেপ্তারকৃত রুবেলের বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ থানায় চুরি ও ছিনতাইয়ের একটি মামলা আছে বলে জানান র‌্যাব কর্মকর্তা।