চতুর্থ ধাপে ৬০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত

চতুর্থ ধাপে ৬০ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ : ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের চতুর্থ ধাপের ভোটগ্রহণ আজ বুধবার (৫ জুন) সকাল ৮টায় শুরু হয়। যা বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে। দেশের ৬০টি উপজেলায় এ ভোট অনুষ্ঠিত হয়।

এ ধাপের ভোটের মধ্য দিয়েই ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হচ্ছে। তবে ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে স্থগিতকৃত ২০টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ করা হবে আগামী ৯ জুন।

সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন আয়োজনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

মঙ্গলবার (৪ জুন) রাতেই দুর্গম এলাকার ১৯৭টি কেন্দ্রে ব্যালট পেপারসহ নির্বাচনি সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে। আজ ভোটের দিন ভোরে বাকি কেন্দ্রগুলোতে এসব সরঞ্জাম পাঠানো হয়।

জানা গেছে, চতুর্থ ধাপে ৬০ উপজেলার মধ্যে ৬টিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে এবং ৫৪টি উপজেলায় ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ করা হবে। ৬০টি উপজেলায় ১ জন চেয়ারম্যান, ৩ জন ভাইস চেয়ারম্যান ও ১ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এরই মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২৫১ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৬৫ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২০৫ জনসহ মোট ৭২১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। 

৫৮টি পৌরসভা ও ৮৭৪টি ইউনিয়নের ২ কোটি ১৭ লাখ ৩৪ হাজার ২৫৫ জন ভোটার তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৭ হাজার ৮২৫টি। নির্বাচনে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোট বিজিবি মোতায়েন থাকছে ১৬৬ প্লাটুন। ভোটকেন্দ্রে মোট পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে ১৯ হাজার ৪৭৮ জন, মোবাইল টিমে মোট পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে ৬ হাজার ৩ জন, স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোট পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে ২ হাজার ৬৭৩ জন। সর্বমোট পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে ৪১ হাজার ৩৭৯ জন। মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোট র‌্যাব মোতায়েন থাকবে ১৫৪টি টিম। ভোটকেন্দ্র এবং মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মোট আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবে ৬৬ হাজার ৫৭৯ জন। নির্বাচনে স্বাভাবিক এলাকার ভোটকেন্দ্রে পুলিশ, আনসারসহ মোট ১৭ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করেন। আর গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৮-১৯ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করেন। বিশেষ এলাকার (পার্বত্য ও দুর্গম এলাকা) সাধারণ কেন্দ্রে ১৯ জন ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ২০-২১ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করেন।

দেশের ৪৯৫ উপজেলার মধ্যে নির্বাচন উপযোগী ৪৮৫ উপজেলায় চার ধাপে ভোট হচ্ছে এবার। প্রথম ধাপের ১৩৯ উপজেলায় ভোট হয়েছে গত ৮ মে। এসব উপজেলায় গড়ে প্রায় ৩৬ শতাংশ ভোট পড়ে। প্রথম ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২৮ জন নির্বাচিত হন। দ্বিতীয় ধাপে ১৫৬ উপজেলা নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা নির্বাচিত হন ২২ জন। ২১ মে এ ধাপের নির্বাচনে ভোট পড়ে ৩৮ শতাংশ। ২৯ মে তৃতীয় ধাপের ৮৭টি উপজেলার নির্বাচনে ভোট পড়ে ৩৬ দশমিক ২৪ শতাংশ।