চট্টগ্রামে মদের পর পাওয়া গেলো ৫৩ হাজার প্যাকেট ‘আমদানি নিষিদ্ধ’ সিগারেট।

চট্টগ্রামে মদের পর পাওয়া গেলো ৫৩ হাজার প্যাকেট ‘আমদানি নিষিদ্ধ’ সিগারেট।

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঙলা কাগজ; চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সোমবার (২৫ জুলাই) আটক মদের দুটি কনটেইনারের শতভাগ কায়িক পরীক্ষা শেষ হয়েছে। কায়িক পরীক্ষা শেষে মদের সঙ্গে আমদানি নিষিদ্ধ ৫৩ হাজার প্যাকেট বিদেশি সিগারেটও পাওয়া গেছে। বিষয়টি বাঙলা কাগজ ও ডনকে জানিয়েছেন এআইআর শাখার ডেপুটি কমিশনার সাইফুল হক।

সোমবার (২৫ জুলাই) রাতে বন্দরের ভেতর থেকে আটক চালান দুটির শতভাগ কায়িক পরীক্ষা শেষে এ তথ্য জানা যায়। চালান দুটিতে ২০ কোটি ৪৮ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা করা হয়েছিলো।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ২ জুলাই ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রিজের নামে টেক্সটার্ড ইয়ান ঘোষণায় এবং গত ১২ জুলাই ডং জিন ইন্ডাস্ট্রিয়াল বিডি কোম্পানি লিমিটেডের নামে মেটারিয়ালস পলিপ্রপিলিন রেসিন ঘোষণায় চীন থেকে আসে দুটি চালান। 

চালান আটকের পর কায়িক পরীক্ষা শেষে তাতে ২ হাজার ৮৫৮টি কার্টনে ৩১ হাজার ৪৯২ দশমিক ৫ লিটার বিদেশি মদ পাওয়া গেছে। এ সময় একটি কনটেইনারে মদের সঙ্গে ৫৩ হাজার প্যাকেটে ১০ লাখ ৬০ হাজার শলাকা আমদানি নিষিদ্ধ বিদেশি সিগারেটও পাওয়া গেছে। এসব পণ্যের শুল্কায়নযোগ্য মূল্য ৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। এতে প্রায় ২০ কোটি ৬৮ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা করা হয়েছিলো।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের এআইআর শাখার ডেপুটি কমিশনার সাইফুল হক বাঙলা কাগজ ও ডনকে বলেন, ‘অসত্য ঘোষণায় আমদানির বিষয়ে ধারণার পর গত ১৪ জুলাই ডং জিন ইন্ডাস্ট্রিয়াল বিডি লিমিটেডের নামে ও গত ২৩ জুলাই ভিআইপি ইন্ডাস্ট্রির নামে আসা চালান দুটি কাস্টমসের এআইআর শাখা লক করে দেয় যেনো বন্দর থেকে খালাস নিতে না পারে। চালান দুটি আটকের পর শতভাগ কায়িক পরীক্ষা শেষ করা হয়েছে। তবে চালান দুটি খালাসের জন্য কাস্টম হাউসে বিল অব এন্ট্রি দাখিল না হওয়ায় সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায় নি।’