সীতাকুণ্ডের পর চট্টগ্রামের আরেক ডিপোতে ধোঁয়া : আতঙ্ক।

সীতাকুণ্ডের পর চট্টগ্রামের আরেক ডিপোতে ধোঁয়া : আতঙ্ক।

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঙলা কাগজ; চট্টগ্রাম : সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোর ঘটনার পর চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি ডিপোতে রাখা কন্টেইনারে ধোঁয়া দেখে আশেপাশের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দেয়; তবে পরে ফায়ার সার্ভিস এসে ভয় পাওয়ার মত কিছু খুঁজে পায় নি।

সোমবার (১৩ জুন) রাত পৌনে নয়টার দিকে নগরীর পতেঙ্গায় ভারটেক্স অফ ডক লজিস্টিক সার্ভিসেস লিমিটেড নামের কন্টেইনার ডিপোতে এ ঘটনা ঘটে।

এতে কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয় নি জানিয়ে কেইপিজেড ফায়ার স্টেশনের কর্মকর্তা শহীদুল্লাহ বাঙলা কাগজ ও ডনকে জানান, অতিরিক্ত তাপের কারণে তুলাভর্তি একটি কন্টেইনার থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখে স্থানীয়রা তাঁদের খবর দেয়।

রাত পৌনে নয়টার দিকে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সোয়া নয়টায় তা নিভিয়ে ফেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে বলে জানান তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ফায়ার সার্ভিস ও থানা পুলিশ জানায়, ডিপোর শ্রমিক ও স্থানীয়রা একটি কন্টেইনার থেকে কুণ্ডলি পাকিয়ে ধোঁয়া বের হতে দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। কয়েক দিন আগেই সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোর আগুন ও ভয়াবহ বিস্ফোরণের কারণেই সবার মধ্যে ভীতি ছড়ায়।

লিডার শহীদুল্লাহ বলেন, কন্টেইনারে রাখা তুলার গাট সরিয়ে তল্লাশি করা হয়েছে। আশেপাশের কন্টেইনারও সরিয়ে ফেলা হয়েছে। আর কোনও ধোঁয়া দেখা না যাওয়ায় আমরা কাজ শেষ করেছি। রপ্তানির জন্য রাখা একটি তুলাভর্তি কন্টেইনারে ছিটানো ওষুধ গরম ও বৃষ্টির কারণে উত্তপ্ত হয়ে ধোঁয়ার মতো সৃষ্টি হয়। তবে কোনও প্রকার ক্ষতি হয় নি।

পতেঙ্গা থানার ওসি কবির হোসেনও জানান, আগুন লাগার কোনও ঘটনা ঘটে নি। ধোঁয়ার মতো সৃষ্টি হওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কন্টেইনার খুলে তল্লাশি করেছে, তেমন কিছু পাওয়া যায় নি।

এর আগে গত ৪ জুন রাতে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে আগুন লাগার পর একের পর এক বিস্ফোরণে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ডিপোতে থাকা রাসায়নিকের কারণে ছড়িয়ে পড়া ওই আগুন ৮৬ ঘণ্টা পর বিভিন্ন বাহিনীর চেষ্টায় নেভানো হয়। ভয়াবহ ওই অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত ৪৯ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শতাধিক।