চট্টগ্রামের পাহাড়ে অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণ বসতি উচ্ছেদ শুরু।

চট্টগ্রামের পাহাড়ে অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণ বসতি উচ্ছেদ শুরু।

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঙলা কাগজ; চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামের পাহাড়ে অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। আজ রোববার (১৯ জুন) বেলা ১১টা থেকে পূর্ব ফিরোজশাহ ১ নম্বর ঝিল এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে বসবাসরতদের উচ্ছেদে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে সহযোগিতা করেছেন র‌্যাব, পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলামের সমন্বয়ে অভিযান পরিচালনা করেন কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) উমর ফারুক, বাকলিয়া সার্কেলের সহকারী কমিশনার মাসুদ রানা এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আল আমিন সরকার।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম বাঙলা কাগজ ও ডনকে বলেন, বেলা ১১টা থেকে জেলা প্রশাসনের ৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে বসবাসরতদের উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করা হয়। বেশকিছু ঘর উচ্ছেদ করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এদিকে আকবর শাহ থানার ১ নম্বর ঝিলের বরিশাল ঘোনা এলাকায় অতি ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ওমর ফারুক। তিনি বাঙলা কাগজ ও ডনকে বলেন, এ জায়গাটা রেলওয়ের জায়গা। পাহাড়গুলো রেলওয়ের পাহাড়। এখানে থাকা স্থাপনা উচ্ছেদ করে আমরা রেলওয়েকে বুঝিয়ে দিই। এরপরও দেখা যায়, কিছু লোক আবারও অবস্থান করতে চলে আসে। আমরা এখন কঠোর অবস্থানে রয়েছি। এর পরবর্তীতে যদি দেখা যায় যে, কেউ এখানে অবস্থান করার জন্য বা পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ঘরবাড়ি তৈরি করে, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলাসহ কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।

‘পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ স্থাপনা উচ্ছেদে নিয়মিত কাজ করা হচ্ছে। তাঁদেরকে সরে যাওয়ার জন্য আগে থেকেই বলা হয়েছে। এরপরও তাঁরা এখান থেকে তাঁদের মালামাল সরিয়ে নেন নি। অথচ পাহাড়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে।’

ওমর ফারুক বাঙলা কাগজ ও ডনকে আরও বলেন, এখানে যতোগুলো অবৈধ স্থাপনা রয়েছে, সবগুলোর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা নিজ দায়িত্বে সরে না যাওয়াতেই আমাদের বাধ্য হয়েই এগুলো ভাঙাতে হচ্ছে।

শুক্রবার (১৭ জুন) দিবাগত রাতে চট্টগ্রামের আকবর শাহ থানা এলাকায় পৃথক পাহাড় ধসের ঘটনায় ৪ নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে।