গৃহবধূ চম্পার খুনিদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি।

গৃহবধূ চম্পার খুনিদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি।

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঙলা কাগজ; কুলেন্দু শেখর দাস, সুনামগঞ্জ : সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় ‘যৌতুকলোভী’ শিক্ষক স্বামী মৃদুল চন্দ্র সরকার কর্তৃক তাঁর স্ত্রী চম্পা রানী দাশকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখার ঘটনায় খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করা হয়েছে। শুক্রবার (২২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টায় নাগরিক সমাজ, জেলা মহিলা পরিষদ ও শাল্লা সমিতির ব্যানারে সুনামগঞ্জের ট্রাফিক পয়েন্টে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এ দাবি করা হয়। এতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন অংশগ্রহণ করেন। মহিলা পরিষদের সভানেত্রী গৌরি ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সুনামগঞ্জ পৌর ডিগ্রি কলেজের প্রাক্তন অধ্যাপক কৃষক নেতা চিত্তরঞ্জন তালুকদার, মহিলা পরিষদের সঞ্চিতা চৌধুরী, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সোনালী ব্যাংকের প্রাক্তন ম্যানেজার যোগেন্দ্র চন্দ্র দাস, চম্পার জেঠিমা নমিতা চৌধুরী, জেঠু রমেন্দ্র চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মতিয়া বেগম, শাল্লার মৃণাল কান্তি চৌধুরী, সুনামগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি এবং বাঙলা কাগজ ও আওয়ার ডনের সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি কুলেন্দু শেখর দাস, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি শোয়েব চৌধুরী, ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সুব্রত সরকার, শাল্লা সমিতির সভাপতি তাপস রঞ্জন দাস, মহিলা পরিষদের সদস্য রুবী রানী দাস, নিহত চম্পার বড়ভাই নীলকণ্ঠ দাস, মুহিত ভট্টাচার্য এবং নিহতের ছোটভাই নিহার চন্দ্র দাস প্রমুখ। মানববন্ধনে বক্তারা নিহত চম্পার গ্রেপ্তারকৃত যৌতুকলোভী ঘাতক স্বামী মৃদুল চন্দ্র সরকার, পলাতক ভাসুর মুকুল চন্দ্র সরকার ও শাশুড়ি প্রেমলতাকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার দাবি জানান। পাশাপাশি তাঁরা এ হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার দাবি করেন। উল্লেখ্য, গৃহবধূ চম্পা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের ছোটভাই নিহার চন্দ্র দাস বাদি হয়ে গত ১৭ এপ্রিল তাঁর বোনের স্বামী মৃদুল চন্দ্র সরকারকে প্রধান আসামি করে জগন্নাথপুর থানায় একটি আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলা দায়ের করেন। যার নম্বর : ০৭, তারিখ ১৭/০৪/২০২২ খ্রিস্টাব্দ। তবে নিহার চন্দ্র দাস বাঙলা কাগজ ও ডনের কাছে দাবি করেছেন যে, তাঁরা মামলা করার পর নিশ্চিত হয়েছেন, তাঁর বোনকে হত্যা করা হয়েছে। আর ময়নাতদন্তের পর তাঁর বোনের স্বামী মৃদুল চন্দ্র সরকারকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উল্লেখ করা যেতে পারে, ২০২১ সালের ৩রা অক্টোবর সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার বাহারা ইউনিয়নের আঙ্গারুয়া গ্রামের নিখিল চন্দ্র দাসের মাস্টার্স পড়ুয়া একমাত্র মেয়ে চম্পা রানী দাসের সঙ্গে নেত্রকোণা জেলার খালিয়াজুরী উপজেলার চাঁনপুর গ্রামের মৃত যামিনী সরকারের তৃতীয় ছেলে মৃদুল চন্দ্র সরকারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্ত্রী চম্পা রানী দাসকে নিয়ে কর্মস্থল জগন্নাথপুরে এক ভাড়া বাসায় থাকছিলেন মৃদুল চন্দ্র সরকার।