কে তামিমের বিকল্প : নাঈম নাকি তানজিদ

কে তামিমের বিকল্প : নাঈম নাকি তানজিদ

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ : তামিম ইকবালের জায়গায় কি তাহলে যোগ্য উত্তরসূরি খুঁজে পেয়েছেন নির্বাচকেরা? বাঁহাতি ব্যাটার, টি-২০তে স্ট্রাইকরেট যার ১০৩ দশমিক ৪২ আর ওয়ানডেতে ৩২ দশমিক ২৫! অবশ্য মাত্র চারটি ওডিআই খেলা নাঈম শেখের ১০ রান দিয়ে এটা বিচার করা ঠিক হবে না। নির্বাচকপ্রধান মিনহাজুল আবেদীন অবশ্য তা করেনও নি।

অন্যদের বেলায় ইমার্জিং এশিয়া কাপের পারফরম্যান্স সামনে আনলেও নাঈম শেখের বেলায় সেটা সম্ভব হয় নি। কেননা, ওখানে গিয়ে ওমানের সঙ্গে সর্বোচ্চ ৪৭ করেছিলেন তিনি। চার ইনিংসে মাত্র ১২৫! তবে এসব কিছুই না, শেষ পর্যন্ত নাঈম শেখের আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতার ব্যাখ্যা দিয়েছেন নান্নু। ‘নাঈম শেখ ঘরোয়া ক্রিকেটে যথেষ্ট ভালো খেলেছে। এর সঙ্গে যেহেতু আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা আছে, এজন্য আমরা চিন্তা করেছি ওকে আরেকটু সুযোগ দেওয়া যায়।’ 

অবশ্য তাঁর সুরে খুব বেশি আস্থা নেই। বরং নবাগত তানজিদ হাসান তামিমকে ঘিরে স্বপ্নটা বড় নির্বাচকদের। বছর বাইশের এ বাঁহাতি ওপেনারের সম্প্রতি ইমার্জিং এশিয়া কাপে একটি সেঞ্চুরিসহ স্ট্রাইক রেট প্রায় ১১৭। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী বাংলাদেশ দলের সদস্যও ছিলেন তিনি। ‘তানজিদ তামিমকে নিয়ে আমরা নির্বাচকরা যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। কারণ ওকে এইচপিতে (হাইপারফরম্যান্স ইউনিট) নার্সিং করা হয়েছে। শেষ ইমার্জিং এশিয়া কাপেও যথেষ্ট পারফর্ম করেছে। দেশের জন্য ভালো কিছু দিতে অপেক্ষা করছে সে।’

বগুড়ার বাঁহাতি এই ওপেনারের ৪৬টি ‘লিস্ট এ’ ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তবে সেভাবে কখনও বড় দলের মুখোমুখি হতে হয় নি। সাধারণত দ্বিপক্ষীয় সিরিজ দিয়েই বেশির ভাগ ক্রিকেটারের অভিষেক হয়। সেখানে তানজিদের সামনে এশিয়া কাপের মতো বড় মঞ্চ। অবশ্য এখানে তাঁর সামনে তামিম ইকবালের শূন্যস্থান পূরণের চ্যালেঞ্জ না দেওয়াই ভালো। সেই চাপটা কিন্তু থাকবে নাঈম শেখের ওপর। কিন্তু অতীত বলে এ ধরনের চ্যালেঞ্জে কখনও নিজেকে প্রমাণ করতে দেখা যায়নি নাঈমকে। 

গত বছর আরব আমিরাতে এশিয়া কাপের দলেও ফেরানো হয়েছিল নাঈমকে। সেখানে আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি। আফগানিস্তান সিরিজের প্রথম ওয়ানডে শেষে তামিম ইকবালের আকস্মিক অবসরের পরও দুটি ম্যাচে সুযোগ দেওয়া হয়েছিল নাঈমকে। সেখানে তাঁর রান ৯ আর শূন্য। ঘরোয়া ক্রিকেটে আবাহনীর হয়ে ভালো করার পুরস্কার তিনি আফগানিস্তান সিরিজেই পেয়েছিলেন। তবে এটা ঠিক ‘ডট’ খেলে নাঈম এক দিক থেকে ইনিংস ধরে রাখার চেষ্টা করে থাকেন। সে কারণেই হয়তো তাঁর ওপর এত ভরসা নির্বাচকদের। 

কিন্তু নিউজিল্যান্ড সিরিজে তামিম ইকবাল ফিরে এলে নাঈম শেখ কিংবা তানজিদ তামিমের মধ্যে কাউকে হয়তো বাদ পড়তে হবে। তবে দু’জনই যদি এশিয়া কাপে ভালো করেন, তাহলে হয়তো মধুর সমস্যায় পড়তে হবে নির্বাচকদের। অবশ্য তামিম যদি বিশ্বকাপ না খেলেন, তাহলে হয়তো এ দু’জনই থাকবেন।