কৃষ্ণা ও শামসুন্নাহারের লাগেজের তালা ভাঙা : টাকা ও কাপড় চুরি!

কৃষ্ণা ও শামসুন্নাহারের লাগেজের তালা ভাঙা : টাকা ও কাপড় চুরি!

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ : সাফজয়ী ফুটবলার কৃষ্ণা রানী সরকার ও শামুসন্নাহারের লাগেজ থেকে ডলার, কাপড়চোপড় ও অন্য আনুষঙ্গিক জিনিসপত্র খোয়া যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) নেপাল থেকে ঢাকায় ফেরার পর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এ ঘটনা ঘটেছে।

কৃষ্ণার বাবা বাসুদেব সরকার বাঙলার কাগজ ও ডনকে বলেন, ‘সকালে মেয়ে আমাকে ফোন করেছিলো। ওর ভীষণ মন খারাপ। কৃষ্ণা আমাকে বলেছে, ওর লাগেজ থেকে ৪ শ ডলার চুরি করে নিয়েছে। আর শামসুন্নাহারের লাগেজ থেকেও কিছু নেপালি টাকা ও কাপড়চোপড় হারিয়েছে।’

বাংলাদেশ ফুটবল দলের সহকারী কোচ মাহবুবুর রহমান এমন ঘটনায় প্রচণ্ড হতাশ, ‘বিমানবন্দরে নামার পর জানতে পারি কৃষ্ণা, শামসুন্নাহারসহ আমাদের দলের ফিজিওর বেশকিছু জিনিসপত্র খোয়া গেছে। টাকাপয়সাও হারিয়েছে। আমরা বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে কিরণ আপাকে (মাহফুজা আক্তার, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের মহিলা উইং চেয়ারম্যান) জানিয়েছি। আপা এরই মধ্যে বাংলাদেশ বিমান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। আশা করি, এ ব্যাপারে একটা সমাধান হবে।’

গতকাল বিমানবন্দরে সাফজয়ী ফুটবলাররা নামার পর চরম বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হয়। নারীদের কিছুটা দূরত্ব বজায় রেখে নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে গাড়িতে উঠার ব্যবস্থা রাখা হয় নি।

বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে কয়েক শ সাংবাদিকের ভিড় ছিলো। ইমিগ্রেশন শেষ করে নারী ফুটবলারদের যে পথে আসার কথা ছিলো, ওই পথে ছিলো অসংখ্য সাংবাদিকের ভিড়। যে কারণে সংবাদ সম্মেলনও সংক্ষিপ্ত করা হয়। মেয়েরা উঠে পড়েন ছাদখোলা বাসে।

বিমানবন্দরের লাগেজ বেল্টের এক পাশে পড়ে ছিলো সাবিনা, কৃষ্ণাদের লাগেজগুলো। সেখানে থাকা কয়েক কর্মকর্তা কাল বলছিলেন, ‘এই লাগেজগুলো কাদের? কেউ নিচ্ছে না কেনো?’ এরপর বাফুফের পক্ষ থেকে মেয়েদের লাগেজগুলো সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু বাফুফে ভবনে গিয়ে খেলোয়াড়দের কয়েকজন নিজেদের লাগেজের তালা ভাঙা পান। অথচ বিমানবন্দরে লাগেজগুলো থাকলেও সেগুলো যে নারী খেলোয়াড়দের তা সংশ্লিষ্টদের নিশ্চিত করা এবং নিরাপত্তা বিধান করা উচিত ছিলো।