কিশোর গ্যাংয়ের দাপটে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী!

কিশোর গ্যাংয়ের দাপটে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী!

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঙলা কাগজ; ইমদাদুল হক, পাইকগাছা (খুলনা) : পাইকগাছায় কিশোর গ্যাংয়ের দাপটে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।

‘কিশোর গ্যাং’ শব্দটি এখন বহুল আলোচিত।

পাইকগাছা উপজেলার পৌর সদর, কপিলমুনি, বাঁকা, চাঁদখালী, গদাইপুর এলাকায় এদের দৌরাত্ম্য বেড়েই চলেছে। এই কিশোর গ্যাং পাইকগাছার সদর ইউনিয়ান গদাইপুরের ফুটবল খেলার মাঠ থেকে বোয়ালিয়া মোড়ের মধ্যে কয়েক দিন পরপর তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে মারামারি, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া করে ‘মহা উৎসাহে’ তাদের পেশীশক্তির প্রকাশ ঘটিয়ে চলেছে। এই কিশোরেরা শুধু নিজেদের বলে বলীয়ান হয়ে কু-কর্মগুলো সংঘটিত করছে না; এরা কারও না কারও ছত্রছায়ায় পালিত হচ্ছে। নইলে হঠাৎ করে কোনও মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে, কেটে পড়ার সুযোগ পায় কীভাবে- এসব এলাকাবাসীর প্রশ্ন।

তাঁরা জানিয়েছেন, বেশিরভাগ ঘটনায়ই কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা ধরা পড়ে না। এ নিয়ে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের অভিভাবকেরা তাঁদের সন্তানদের নিয়ে দু-চিন্তা ও আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।

উপজেলার ভোলানাথ সুখদা সুন্দরী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বোয়ালিয়ার মোড়ের পাশে শহীদ জিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়,  গদাইপুর টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ শুরু ও ছুটির সময় বিনা প্রয়োজনে এলাকার কিছু উশৃঙ্খল ছেলে স্কুল ছাত্রীদের পিছু নেওয়া ও পরোক্ষভাবে ইভটিজিংয়ের মতো আচরণ করছে। এ সময় তাঁরা মোবাইল ফোনে ছবি ও ভিডিও ধারণ করায় ছাত্রীরা চরম বিব্রতবোধের পাশাপাশি নিরাপত্তহীনতায়ও ভুগছে। বিষয়টি জানিয়েছেন বেশ কয়েকজন অভিভাবক।

ভোলানাথ সুখদা সুন্দরী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বদিউজ্জামান সরদার বাঙলা কাগজ ও ডনকে জানান, সম্প্রতি এলাকার কিছু ছেলের আচরণ এতোটা খারাপ হয়েছে যে, তাঁরা শিক্ষকদের কটাক্ষ করে কথা বলছে। স্কুলের আশেপাশে তারা বিনা প্রয়োজনে আড্ডা জমাচ্ছে। সম্প্রতি এদের একটি জন্মদিন পালন নিয়ে বিদ্যালয়ের মাঠে উশৃঙ্খ পরিবেশ সৃষ্টি করলে থানা পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ তাদের আটক করে বিদ্যালয়ের অফিসে আনার পর তারা ভবিষ্যতে এ ধরনের কোন কর্মকাণ্ড করবে না মর্মে তাদের অভিভাবকদের মুচলেকা নিয়ে প্রথমবারের মতো ছেড়ে দেওয়া হয়। বিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা রক্ষায় শিক্ষক ও অভিভাবক সদস্যদের সম্মিলিত চেষ্টা অব্যহত রয়েছে। 

এ ব্যাপারে পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউর রহমান বাঙলা কাগজ ও ডনকে বলেন, কিশোর গ্যাংয়ের অপরাধ কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে থানা পুলিশ তৎপর রয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাশে বিনা প্রয়োজনে কোনও ছেলে ঘোরাফেরা করলে, তাদেরকে আটক করা হবে এবং পুলিশের নজদারি বাড়ানো হয়েছে।