কালাম আঝাদ’র কলাম : ধর্মঘটের ভয় না পেয়ে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে সিদ্ধান্ত দিন।

কালাম আঝাদ’র কলাম : ধর্মঘটের ভয় না পেয়ে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে সিদ্ধান্ত দিন।
সম্পাদকীয় মত, বাংলা কাগজ : আজ রবিবার (২৮ নভেম্বর) মহান জাতীয় সংসদে মশিউর রহমান রাঙ্গাঁকে পাশে রেখে জাতীয় পার্টির মহাসচিব জি এম কাদের যেভাবে বক্তব্য দিয়েছেন, তাতে সরকারকে স্পষ্টতই হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে; আর বড় করা হয়েছে পরিবহন মালিক সমিতিকে। আমি বলবো, পরিবহন মালিক সমিতি তো সব সময়ই মুনাফা করে আসছে। আবার সব সময়ই অলিখিতভাবে শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ পাস চালু ছিলো। তাহলে এ অবস্থায় হাফ পাস অফিসিয়ালি চালু করতে সমস্যা কোথায়? এক্ষেত্রে সরকার বিআরটিসিতে হাফ পাস চালু করেছে, যা পহেলা ডিসেম্বর থেকেই চালু হবে। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীরা এখন আন্দোলনে পরিবহন সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে। আমি পরিবহন সংশ্লিষ্টদের বলতে চাই, শিক্ষার্থীদের শক্তিমত্তা সম্পর্কে কি আপনাদের কোনও ধারণা আছে? তাঁরা যদি আপনাদের পরিবহন চলাচল বন্ধ করে দেন এবং কয়েকদিন ধরে তা অব্যাহত থাকে, তবে আপনারা কি করবেন? এ অবস্থায় আসলে শক্তিশালী কে? সরকার নাকি পরিবহন মালিক সমিতি? আমি বলবো, সবচেয়ে শক্তিশালী জনগণ। তাই বলবো, গণপরিবহনের মালিকেরা শিগগিরই শিক্ষার্থীদের জন্য এতোদিন ধরে চলে আসা সুযোগটির লিখিত রূপ দিন। আর সরকারকে বলবো, আপনারা গণপরিবহনে হাফ ভাড়ার বিষয়ে সিদ্ধান্তটি গণপরিবহন মালিকদের জানিয়ে দিন। এক্ষেত্রে পরিবহন মালিকদের কোনোভাবেই ‘ভয় পাবার’ কোনও কারণ নেই। কারণ এমন অবস্থায় ‘শঙ্কা আসতে পারে’ যে, যদি পরিবহন মালিকেরা ধর্মঘট দেন। এমন শঙ্কা অমূলক নয়। এক্ষেত্রে পরিবহন মালিকেরা তাঁদের ধর্মঘট ডাকবেন, আর সরকার নেবে ব্যবস্থা। যেখানে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ রয়েছে। ফলে যদি সরকারের বিরুদ্ধাচরণ করে পরিবহন মালিক সমিতি ধর্মঘট দেয়ই, তাহলে বিআরটিএ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা স্বরূপ তাদের রুট পারমিট বাতিল করে দেবে? সুতরাং সরকারের ওপর ‘দাদাগিরি’ করে কোনওই লাভ হবে না। সুতরাং সরকারের ভয় পাবার কোনওই কারণ নেই। সার্বিকভাবে, জি এম কাদেরের মতো কেউ সরকারের মাথার ওপর ছড়ি ঘুরিয়ে হাস্যরস সৃষ্টির সাহস পাবে না। আবার স্বস্তিও পাবে সাধারণ জনগণ। এবং শিক্ষার্থীদেরও মুখে ফুটবে হাঁসি।