কালাম আঝাদ’র কলাম : আমদানি ব্যয় ও মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় নিয়ে টাকার মান বাড়াতে পারেন।

কালাম আঝাদ’র কলাম : আমদানি ব্যয় ও মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় নিয়ে টাকার মান বাড়াতে পারেন।

সম্পাদকীয় মত, বাঙলা কাগজ : খোলা বাজারে ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকও ডলারের দাম বাড়িয়ে টাকার দাম কমিয়ে দেওয়ার যুক্তি নেই। বরং খোলা বাজারে টাকার বিপরীতে ডলারের দাম বেড়ে গেলে এর লাগাম টেনে ধরতে ব্যাংকিং চ্যানেলে এর দাম কমিয়ে দিতে হবে। বর্তমান অবস্থায় যে যুদ্ধাবস্থা চলছে, সেখানে আমদানি ব্যয় বেড়ে গেছে, ফলে ডলারের যেমন চাহিদা বাড়ছে, তেমনি পণ্যমূল্যের দামও বাড়ছে হু হু করে। কিন্তু টাকার বিপরীতে ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে হলে, এখানে যোগান-চাহিদার কথা বিবেচনায় নেওয়া যাবে না। বিবেচনায় নিতে হবে, বর্তমানে আমাদের আমদানি ব্যয় কতো আর রপ্তানি আয় কতো। সব সময় যদিও আমদানি ব্যয় কিছুটা বেশি থাকে, তবে এখন আমদানি ব্যয় বেশ বেড়েছে। এই অবস্থায় টাকার মান বাড়িয়ে দেওয়া বা টাকার বিপরীতে ডলারের দাম কমিয়ে দিয়ে অবস্থা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা যায়। এক্ষেত্রে আমদানিকারকে আপাতদৃষ্টিতে আমদানিতে বেশি ডলার খরচ করতে হলেও মোটমাট কম টাকা খরচ করতে হবে। অর্থাৎ তিনি ‘কমদামে ডলার কিনতে’ পারবেন। ফলে তিনি সেই অনুযায়ী, বাজারে কমদামে পণ্য ছাড়তে পারবেন, যাতে মূল্যস্ফীতি কমে যাবে। আমরা জানি, বাংলাদেশ ব্যাংক সরাসরি বাজারে হস্তক্ষেপ করে ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। যাকে বলে ডার্টি ফ্লোটিং পদ্ধতি। আর এ পদ্ধতিতে এখন আমদানিকারকদের লাভের জন্য ডলারের দাম কিছুটা কমিয়ে দিতে হবে। যদিও ডলারের দাম কমিয়ে দিয়ে টাকার দাম বাড়িয়ে দিলে রপ্তানিকারক এবং রেমিটাররা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, এরপরও বর্তমানে আমদানি ব্যয় ব্যাপক হারে বেড়ে যাওয়ার কারণে আমাদেরকে ডলারের দাম কিছুটা কমিয়ে দেওয়াই মনে হয় যুক্তিসঙ্গত। এরপরও ব্যালেন্স অব পেমেন্টের কথা মাথায় রাখতে হবে।