কলকাতার ৮ পয়েন্টে দেখানো হবে পদ্মা সেতুর লাইভ উদ্বোধন।

কলকাতার ৮ পয়েন্টে দেখানো হবে পদ্মা সেতুর লাইভ উদ্বোধন।

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঙলা কাগজ; কলকাতা : কলকাতার ৮টি পয়েন্ট থেকে শনিবার (২৫ জুন) লাইভ দেখা যাবে পদ্মা সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠান। কলকাতায় বাংলাদেশের উপ-দূতাবাসের অনুরোধে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার এবং কলকাতা পৌরসভা এমন আয়োজন করেছে। যা দেখা যাবে শহরটির বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। শুক্রবার (২৪ জুন) এমন আনন্দের বার্তাই দিয়েছেন কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসের প্রথম সচিব (প্রেস) রঞ্জন সেন।

এক বিবৃতিতে রঞ্জন সেন বলেন, পদ্মা সেতুকে নিয়ে বাংলাদেশের পাশাপাশি কলকাতার মানুষের আবেগকে সম্মান জানাতে কলকাতা উপ-দূতাবাসের তরফে আমরা কলকাতায় লাইভ জয়েন্ট স্ক্রিনে পদ্মা সেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন লাইভ দেখানোর কথা ভাবনায় আনি। এর প্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার এবং কলকাতা পৌরসভাকে তাঁদের ডিজিটাল বিলবোর্ডগুলোকে ব্যবহার করার অনুমতি চাই। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় এবং কলকাতা পৌরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বন্ধুত্বের বার্তায় আমরা আপ্লুত, তাঁরা এক মুহূর্ত চিন্তা না করেই পদ্মা সেতু উদ্বোধনের লাইভ ভিডিও সম্প্রচারের সমস্ত দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়েছেন।

রঞ্জন সেন আরও বলেন, মোট ৫টি ডিজিটাল এবং ৩টি এনালগ বিলবোর্ডে ভেসে উঠবে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের লাইভ ভিডিও এবং আপডেট। কলকাতায় পার্ক সার্কাস ৭ পয়েন্ট ক্রসিং, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের এক নম্বর গেটের সামনে এবং ধর্মতলার ভিক্টোরিয়া ওয়াই চ্যানেলের সামনে ও এলগিন রোডে শুক্রবার বিকেল থেকেই কলকাতা পৌরসভার ডিজিটাল বিলবোর্ডগুলোতে ভেসে উঠছে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের সকল প্রস্তুতির ছবি।

এ ছাড়া কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-দূতাবাসের আয়োজনে বাংলাদেশ গ্যালারিতে শনিবার সকাল ৯টা থেকে এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের লাইভ সম্প্রচার করা হবে।

পদ্মা সেতু উদ্বোধন হলে ১০ ঘণ্টা নয় ,মাত্র ৪ ঘণ্টাতেই কলকাতা থেকে পৌঁছানো যাবে ঢাকায়। আর এই সেতু উদ্বোধন হয়ে গেলেই বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হবে দুই দেশই। অনেকেই বলছেন, এই সেতু চালু হয়ে গেলে পদ্মাপাড়ের আর্থসামাজিক পরিস্থিতি যেমন বদলে যাবে, ঠিক সেভাবেই প্রতিবেশি দেশ ভারত বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গেও তার ইতিবাচক প্রভাব পাবে। যাতায়াত সহজতর হওয়ায় বাড়বে পর্যটন, বাড়বে চিকিৎসা খাতে ব্যবসা। তাইতো আশায় বুক বাঁধছে কলকাতা। বাংলাদেশের পদ্মা সেতু হওয়ার খবরে উচ্ছ্বসিত এপারের ব্যবসায়ী, রাজনীতিক থেকে শুরু করে সমাজ সচেতন ব্যক্তিরাও।