ঈশ্বরদীতে রিকশাচালককে গুলি করে হত্যা : যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঙলার কাগজ; পাবনা : পাবনার ঈশ্বরদীতে এক রিকশাচালককে গুলি করে হত্যার ঘটনায় হওয়া মামলার প্রধান আসামি কামাল উদ্দিনসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলা সদরের শৈলপাড়া মহল্লা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে র্যাব।
কামাল উদ্দিন ঈশ্বরদী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ও কাউন্সিলর। গ্রেপ্তার অপর আসামি হলেন হৃদয় হোসেন (২১)। তিনি ১ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি। তাঁকে মামলায় ৩ নম্বর আসামি করা হয়েছে।
শুক্রবার বেলা তিনটায় র্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, হত্যা মামলাটি হওয়ার পর র্যাব আসামিদের ধরতে অভিযানে নামে। শুক্রবার দুপুরে উপজেলা সদরের শৈলপাড়া মহল্লা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের অপারেশন কমান্ডার তৌহিদুল মবিন খান বলেন, অপর আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে। গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
গত বুধবার রাতে উপজেলার পশ্চিম টেংরি কড়ইতলা এলাকায় ইঞ্জিনচালিত নছিমনচালকের সঙ্গে এক লেগুনাচালকের বিরোধ তৈরি হয়। এতে দুই পক্ষের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে কয়েক যুবক সেখানে এসে বিরোধে জড়ান। স্থানীয় লোকজনের দাবি, তাঁদের মধ্যে পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ও কাউন্সিলর কামাল উদ্দিনের ভাই আনোয়ার হোসেন পিস্তল বের করে গুলি চালান। এতে মামুন হোসেন (২৬) নামের এক রিকশাচালক নিহত হন।
এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে রকি হোসেন ও সুমন হোসেন নামের আরও দুজন আহত হন। ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল সন্ধ্যায় নিহত ব্যক্তির লাশ দাফন করা হয়েছে। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে রকি হোসেনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। সুমন হোসেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয় লোকজন বলছেন, আনোয়ার হোসেন পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সদস্য। তবে জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শিবলী সাদিক দাবি করেন, আনোয়ার হোসেন যুবলীগের সদস্য পদে নেই। তিনি ভাইয়ের পরিচয়ে নিজেকে যুবলীগের সদস্য দাবি করেন।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে নিহত মামুনের মা লিপি খাতুন বাদি হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে ঈশ্বরদী থানায় মামলা করেন। মামলাটিতে কামাল উদ্দিনকে প্রধান আসামি ও তাঁর ভাই আনোয়ার হোসেনকে দুই নম্বর আসামি করা হয়েছে।