ইউক্রেনকে ভারী অস্ত্র না দেওয়ার ঘোষণা বাইডেনের।

ইউক্রেনকে ভারী অস্ত্র না দেওয়ার ঘোষণা বাইডেনের।

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলা কাগজ : ইউক্রেনে দূরপাল্লার মাল্টিপল রকেট সিস্টেম (এমএলআরএস) পাঠানোর গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেছেন, রাশিয়ায় আঘাত হানতে পারে এমন রকেট সিস্টেম ইউক্রেনে পাঠানো হবে না। স্থানীয় সময় সোমবার (৩০ মে) তিনি এ কথা জানান। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহের আহ্বানের মধ্যেই জো বাইডেন এ কথা জানালেন। খবর রয়টার্সের।

তথ্য বলছে, ইউক্রেনের পূর্ব দনবাসে গত এক সপ্তাহে ধরে লড়াই তীব্র হয়েছে। রুশ বাহিনীর গোলার আঘাতে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে অঞ্চলটি। ভেঙে পড়েছে দেশটির সেনাদের প্রতিরোধ ব্যবস্থা। এ অবস্থায় ইউক্রেনের সামরিক কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো মিত্রদের কাছে মাল্টিপল লঞ্চ রকেট সিস্টেম বা এমএলআরএস-সহ দূরপাল্লার অস্ত্র ব্যবস্থা চেয়েছেন। এ অস্ত্র ব্যবহার করে শতাধিক মাইল দূরের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম হবে ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনী। তবে হোয়াইট হাউসে বাইডেন বলেছেন, রাশিয়াতে আক্রমণ করা যাবে, এমন রকেট ব্যবস্থা ইউক্রেনে পাঠাবে না যুক্তরাষ্ট্র।

এক প্রতিবেদনে রয়র্টাস জানায়, জো বাইডেন ও তাঁর দল ইউক্রেনে নতুন সামরিক প্যাকেজ পাঠানোর বিষয়ে কাজ করছেন। আসন্ন দিনগুলোয় এ বিষয়ে ঘোষণা প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এক জ্যেষ্ঠ মার্কিন কর্মকর্তা জানান, এমএলআরএস বিবেচনাধীন রয়েছে। কিন্তু রণক্ষেত্রের বাইরে আঘাত করতে সক্ষম এমন দূরপাল্লার কোনও অস্ত্র তালিকায় নেই।

এর আগে স্থানীয় সময় শুক্রবার সিএনএন ও দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, ইউক্রেনে এমএলআরএস পাঠানোর দিকে ঝুঁকছে জো বাইডেন প্রশাসন। একইসঙ্গে হাইমোবিলিট আর্টিলারি রকেট সিস্টেম, যা হিমার্স নামে পরিচিতি, তা পরের সামরিক সহযোগিতা প্যাকেজে থাকতে পারে।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে ‘বিশেষ অভিযান’ শুরু করে রাশিয়া। পূর্ব ইউক্রেনের বিদ্রোহী অধ্যুষিত অঞ্চলগুলোর পাশাপাশি খারকিভের মতো কয়েকটি শহরে সুবিধাজনক অবস্থানে আছে ভ্লাদিমির পুতিন বাহিনী। শুরু থেকেই এ অভিযানের নিন্দা জানিয়ে ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে পশ্চিমা দেশগুলো। রাশিয়াকে অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু করতে দেওয়া হচ্ছে নানা ধরনের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাও।