আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি না চালানোর রিট খারিজ

আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি না চালানোর রিট খারিজ

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ : আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি না চালানোর নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিট সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম দোলন হোসাইনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ তিনদিন শুনানি শেষে রবিবার (৪ আগস্ট) বেশ কয়েকটি পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি এ আদেশ দেন। 

আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পুলিশ প্রবিধান (পিআরবি) আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়েছে। আইনজীবীরা বলেছেন, পিআরবিতে বলা আছে, গুলি করার আগে পুলিশকে কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করতে হয়। জীবন রক্ষার্থে সর্বশেষ ধাপ হিসেবে পুলিশ গুলি করতে পারবেন। তবে নির্বিচারে গুলি করা যাবে না।

আদেশের পর জৈষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক সাংবাদিকদের বলেন, মিছিল সমাবেশে সরাসরি গুলি না চালানোর নির্দেশনা ও কোটা আন্দোলনকারীদের ছয় সমন্বয়ককে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে যে আবেদনটি করা হয়েছিলো, সেটা আজ সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। 

আদালত বলেছেন, যথাযথভাবে রিট আবেদনটি দাখিল করা হয় নি। এই রিটে যৌক্তিক কোনও আইনি পয়েন্ট নেই। ফলে আবেদনটি খারিজ করা হলো।

তিনি বলেন, পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, আইনের বাইরে গিয়ে শান্তিপূর্ণ মিছিল ও সমাবেশে পুলিশ সরাসরি গুলি চালাতে পারবে না।

সংবিধান ও পুলিশ প্রবিধানে যেভাবে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, সেভাবেই তাঁরা যথাযথ দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এই রিট পিটিশনটি দায়ের করা হয়েছিলো, যা আদালত সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন।

রিট পিটিশনারের পক্ষে আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন বলেন, দু’জন আইনজীবী যে রিট পিটিশনটি দায়ের করেছিলেন সেটা খারিজ করে দিয়েছেন এবং বেশকিছু পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন।

পর্যবেক্ষণ বলা হয়েছে, শান্তিপূর্ণ মিছিল ও সমাবেশে গুলি করতে পুলিশকে পিআরবি রুল অনুসরণ করতে হবে। এই পর্যবেক্ষণে আমরা সন্তুষ্ট। তবে কোন অধিকার বলে কোটাআন্দোলনকারী ৬ সমন্বয়কে আটক করা হয়েছিলো, সে বিষয়ে আদালত কোনও কিছু বলেন নি। এ বিষয়টি তাঁদের কাছে প্রশ্ন রয়ে গেলো।