আতিউর রহমান : স্বাস্থ্যখাতে বাজেট বরাদ্দ ও বাস্তবায়ন বাড়ানো সম্ভব।

আতিউর রহমান : স্বাস্থ্যখাতে বাজেট বরাদ্দ ও বাস্তবায়ন বাড়ানো সম্ভব।

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলা কাগজ : স্বাস্থ্যখাতে বাজেট বরাদ্দ ও বাস্তবায়ন দুটোই বাড়ানো সম্ভব বলেই মন্তব্য করেছেন উন্নয়ন সমন্বয়ের সভাপতি ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান।

তিনি বলেন,‘আমরা সব সময় মনে করি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বিনিয়োগ হচ্ছে মানুষের উপর বিনিয়োগ। মানুষের উপরে বিনিয়োগ আরও বেশি করে দীর্ঘমেয়াদে আমাদের মানব শক্তির উন্নয়ন করতে পারে।’ 

বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচ, ব্র্যাক জেমস পি. গ্রান্ট স্কুল অব পাবলিক হেলথ ও ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজনে ‘বাজেট ২০২২-২৩-এ স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দের পর্যালোচনা’ শীর্ষক অনলাইন জাতীয় সংলাপে তিনি এ কথা বলেন।

সংলাপে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। 

বিশেষ অতিথি ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং সংসদ সদস্য ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত এবং ৪৮ নম্বর মহিলা আসনের সংসদ সদস্য লুৎফুন নেসা খান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাসানুল হক ইনু বলেন, সার্বজনীন প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতকরণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে পাঁচ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা করে ওই পরিকল্পনা অনুসারে প্রতিটি বছরের স্বাস্থ্য বাজেট দেওয়া উচিত।

এ সময় ‘সকলের জন্য সুলভে মানসম্মত স্বাস্থ্যসবো নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্য বীমার বিকল্প নেই’ বলেই জানান অধ্যাপক ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত। তিনি মনে করেন, যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব সার্বজনীন স্বাস্থ্য বীমা নিয়ে পরীক্ষামূলক উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।

অনুষ্ঠানে প্রশ্নোত্তর ও অভিমত পর্বে অংশ নেন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে আসা জনস্বাস্থ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞ, কর্মকর্তা এবং অন্যান্য অংশীজনেরা। 

তাঁদের আলোচনায় জাতীয় বাজেটে অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে বরাদ্দের অপ্রতুলতা, নগরাঞ্চলে সরকারি স্বাস্থ্যসেবার অপ্রাপ্যতা, স্বাস্থ্য ক্যাডার কর্মকর্তাদের প্রশাসনিক ও হিসাব ব্যবস্থাপনার প্রশিক্ষণের অভাবের বিষয়গুলো উঠে আসে।

আয়োজকদের পক্ষ থেকে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচের থিমেটিক গ্রুপের সভাপতি অধ্যাপক ড. রুমানা হক এবং সংলাপ সঞ্চালনা করেন উন্নয়ন সমন্বয়ের প্রকল্প সমন্বয়কারী জাহিদ রহমান।