ডন প্রতিবেদন : আজ শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) টিকা পাবেন ১ কোটি মানুষ। দেশের ৭০ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়া সম্পন্ন করতেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে এই টিকা দেওয়া সফল হলে প্রথম ডোজের টার্গেট পূূরণ হবে৷ এরপর প্রথম ডোজের টিকা বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া আর পাওয়া যাবে না৷
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, সরকারের টার্গেট অনুযায়ী, ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া ‘আপাতত’ শেষ হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে, ২৬ ফেব্রুয়ারি টিকা দিতে কোনও রেজিস্ট্রেশন লাগবেনা৷ টিকা কেন্দ্রে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ যে কোনও বৈধ পরিচয়পত্র নিয়ে গেলেই টিকা দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে যাঁদের বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর, সেই নাগরিকেরাই টিকা পাবেন৷ তবে শিক্ষার্থীদের আলাদা প্রকল্পে ১২ বছর বয়স হলেই টিকা দেওয়া হচ্ছে৷
দেশে এ পর্যন্ত টিকা এসেছে ২৭ কোটি ৬৭ লাখেরও বেশি৷
সেই হিসাবে, সরকারের হাতে টিকা আছে ৯ কোটিরও বেশি৷
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বাঙলা কাগজ ও ডনকে জানান, মূলত ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রথম ডোজ টিকা দিয়ে শেষ করতে চায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর৷
‘ওইদিন এক কোটি টার্গেট করা হলেও গত কয়েকদিন ধরেই টিকা দেওয়ার গতি বাড়ানো হয়েছিলো৷’
‘আর সেজন্য অন্যান্য প্রচারেরসঙ্গে মসজিদ ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমেও প্রচার করা হয়েছে৷’
‘এ ছাড়া দোকানদার ও পরিবহন শ্রমিক এবং মালিক সমিতির মাধ্যমেও প্রচার হয়েছে৷’
তিনি বলেন, ‘ওইদিন যদি আমরা টার্গেট গ্রুপকে টিকা দেওয়া শেষ করতে পারি। তাহলে ক্যাম্পেইন আকারে আর টিকা দেওয়া হবে না৷ যদি কেউ বিশেষ কারণে বাদ পড়েন, যেমন- কোভিড আক্রান্ত হওয়া, তাহলে তাঁকে পরে দেওয়া হবে৷ আর বিশেষ প্রয়োজন হলে দেওয়া যেতে পারে।’
জানা গেছে, শনিবার সারাদেশে সরাসরি টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে দেড় লাখেরও বেশি স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োজিত থাকবেন। এর বাইরে থাকবেন বিপুলসংখ্যক স্বোচ্ছাসেবক ও কমিউনিটি মোটিভেটর৷
অতিরিক্ত মহাপরিচালক আরও জানান, ‘আমরা হিসাব করেছি, ৩৫ লাখের মতো ভাসমান মানুষ আছে৷ তাঁদের জন্য ভ্রাম্যমাণ টিকা কেন্দ্র থাকবে৷
‘এ ছাড়া গ্রাম পর্যায়ে প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে কমক্ষে তিনটি করে টিকা বুথ থাকবে৷ শহরে প্রতিটি ওয়ার্ডে ৯টি করে বুথ খাকবে৷ এগুলোর বিপরীতে একটি করে কেন্দ্র থাকবে।’
বাংলাদেশে টিকা দেওয়া শুরুর পর গত বছরের সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনে ৭৬ লাখ ডোজেরও বেশি টিকা একদিনে দেওয়ার রেকর্ড রয়েছে।
প্রসঙ্গত, সর্বশেষ তথ্যে টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন ৯ কোটি ১৫ লাখ ৮৯ হাজার ৪২ জন মানুষ৷
এ বার নিবন্ধন ছাড়া টিকা নেওয়া গেলেও সনদের জন্য পরে নিবন্ধন করে নিতে হবে।